একরত্তি মীরাকে নিয়ে অহনা দত্ত। ছবি: ফেসবুক।
মায়ের সঙ্গে স্টুডিয়োপাড়া ঘুরে ফেলল একরত্তি মীরা! অহনা দত্ত-দীপঙ্কর রায়ের একমাত্র কন্যা। সন্তানের জন্য কয়েক মাসের বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আবার ছোটপর্দায় প্রত্যাবর্তন তাঁর।
স্টুডিয়োপাড়া মীরাকে দেখে কী বলছে? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। খুশির হাসিতে ভেঙে পড়লেন অহনা। বললেন, “স্টুডিয়োপাড়া দ্বিধাবিভক্ত। একদল বলছেন, মেয়েকে দীপঙ্করের মতো দেখতে। অন্য দলের মতে, মীরা নাকি আমার ‘কপিক্যাট’!” এ সব শুনে নাকি তাঁরই গুলিয়ে গিয়েছে, মেয়ে তা হলে কার মতো দেখতে? দীপঙ্কর রূপসজ্জাশিল্পী। মা অভিনেত্রী। মীরাও কি অভিনয়েই আসবে? জানেন না অহনা-দীপঙ্কর। শুধু জানেন, তাঁরা যা করেছেন, নিজেদের পরিশ্রমে করেছেন। কেউ কোনও সহযোগিতা করেননি। মেয়েও সেটাই করবে।
নতুন ধারাবাহিকে নতুন সাজে। ছবি: ফেসবুক।
তার পর ভেঙেছেন রহস্য। “মেয়ে ছোট থেকেই আমাকে ছাড়া থেকে অভ্যস্ত। ওর পাপা ওকে সামলায়। একটু বড় হচ্ছে। ভ্যাক্সিন নিচ্ছে। তখন মাকে খুঁজছে। তাই দীপঙ্কর নিয়ে এসেছিল আমার কাছে। ওকে নিয়ে মেদিনীপুরে মঞ্চানুষ্ঠান করতে গিয়েছি!” মা-বাবাকে একসঙ্গে পেয়ে একটুও কান্নাকাটি নেই একরত্তির।
‘মিশকা’ ফিরল? ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র এই চরিত্র তাঁকে জনপ্রিতা দিয়েছে। ফের হাসতে হাসতে অহনা বললেন, “ধারাবাহিক ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’তে এখনও আমায় ইতিবাচক দেখাচ্ছে। জানি না, পরে চিত্রনাট্য বা চরিত্র বদলে যাবে কি না।” এ-ও জানিয়েছেন, তাঁর অনুরাগীরাও নাকি একই প্রশ্ন করছেন। তবে অভিনেত্রী নিজে এই বদল চেয়েছিলেন। “একদম ঘরোয়া চরিত্র। ঘরোয়া সাজগোজ। যেন পাশের বাড়ি মেয়ে। এ রকম একটা চরিত্রে অনেক দিন ধরেই অভিনয়ের ইচ্ছা ছিল।”
একইসঙ্গে টিম ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে খুবই মিস করছেন ‘মিশকা’। “নতুন সেটে সবাই নতুন। ফলে, গসিপিং হচ্ছে না!”, হেসে ফেলে দাবি তাঁর। বিরতি নেওয়ায় কি কাজ পেতে অসুবিধা হল? অহনার কথায়, “মীরার একমাস বয়স থেকে কাজের ডাক পাচ্ছি।” একটু থেমে যোগ করেছেন, যাঁরা কাজ জানেন, তাঁদের কাজ পেতে কখনও সমস্যা হয় না।