গত বছর তাঁর পরিচালিত ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সুপারহিট। তাঁরই তৈরি ‘আ ওয়েডনেসডে’, ‘স্পেশ্যাল ছব্বিশ’। কিন্তু নিজের ‘বেবি’ ছবির স্পিন-অফ ‘নাম শাবানা’র পরিচালনার দায়িত্বে নেই নীরজ পাণ্ডে। কেন? ‘‘ধোনির বায়োপিকে এত ব্যস্ত ছিলাম, আরও একটা ছবির দায়িত্ব নিতে পারছিলাম না। প্রযোজনা করছি। চিত্রনাট্যও লিখে দিয়েছি। শুধু পরিচালনায় নেই,’’ বললেন নীরজ। নামটা কিন্তু বন্ড ঘেঁষা, ‘দ্য নেম ইজ বন্ড’? ‘‘হতে পারে। সাবকনসাসে হয়তো ছিল,’’ স্পষ্ট স্বীকার তাঁর। অনেকে এটাও বলছে, ছবিটা এক মালয়েশীয় মহিলা গুপ্তচরের বায়োপিক? হেসে উড়িয়ে দেন নীরজ, ‘‘না, না, বায়োপিকের এত প্রেমে পড়িনি।’’
তাঁর নতুন প্রেম ওয়েব সিরিজ। ‘আউচ’ নামে একটা ওয়েবশর্ট বানিয়ে এতটাই ভাল লেগেছে যে, ঠিক করেছেন পুরো একটা সিরিজ বানাবেন। ওয়েব সিরিজের দিকে ঝোঁকার কারণ বোঝা গেল পরের কথায়, ‘‘পাইরেসি ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। এমন চললে ফিচার ফিল্ম বানানো অসম্ভব হয়ে যাবে।’’ পরিচালকদের সবচেয়ে বড় শত্রু পাইরেসি না সেন্সর বোর্ড? হেসে ফেলেন নীরজ, ‘‘সেন্সর বোর্ডের কাজকর্মে মাঝে-মাঝে কান্না পায়। এমন কিছু সিন কাটতে বলে, যেগুলো করলে ছবির মাথা মুণ্ডুই থাকবে না।’’
তবে পরের ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অক্ষয়কুমারকে কাস্ট করেছেন ‘ক্রাশ’ ছবিতে। স্ক্রিপ্ট লেখার সময় নাকি কোনও নির্জন জায়গায় চলে যান তিনি। মুম্বইয়ের ব্যস্ততায় লিখতে পারেন না কলকাতায় বড় হওয়া নীরজ। আর নিজের উপন্যাস ‘গালিব ডেঞ্জার’ থেকে যে ছবি করার
কথা ছিল, সেটা কত দূর এগোল? ‘‘ওটা বিশাল বড় প্রজেক্ট। দু’টো পার্টে করতে হবে। পরের ছবি শেষ হলেই ফ্লোরে যাব,’’ বলেন নীরজ।