রূপটান: মহড়ার আগে প্রস্তুতি শিল্পীদের। —নিজস্ব চিত্র।
গোটা শহর গরমে হাঁসফাঁস, কিন্তু ওঁদের মনে শরতের হাওয়া। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে বাকি এখনও বেশ কিছুদিন। কিন্তু পুজোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারে একঝাঁক শিল্পীদের মধ্যে। শ্রাবণ থেকেই তাঁরা নেমে পড়েছেন মহালয়ার প্রস্তুতিতে। মহিষাসুরমর্দিনীর কাহিনী অবলম্বনে তাঁদের অভিনীত ‘দেবীবন্দনা’ ক্যামেরাবন্দি করে দেখানো হবে জেলার বিভিন্ন চ্যানেলে ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
‘দেবীবন্দনা’-য় অভিনয় করেছেন শহরেরই শিল্পীরা। এখন সংগীতগ্রহণের কাজ চলছে জোরকদমে। ২৪ জুলাই থেকে চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হবে। তাই এবার এক অন্য আঙ্গিকে মহালয়ার দিন জেলার শিল্পীদের অভিনীত অনুষ্ঠান দেখতে মুখিয়ে আলিপুরদুয়ারবাসী। উদ্যোক্তা সংস্থার কর্ণধার তথা অনুষ্ঠানের পরিচালক অভিষেক দে সরকার বললেন, ‘‘কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নয়, সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ এবং ধর্মীয় এতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই এমন ভাবনা।’’ তাঁদের দাবি, গত ১২ বছর ধরেই তাঁরা এই কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এ বার এক অন্য উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। অভিষেকের কথায়, ‘‘ডুয়ার্সের এই শহরে এমন কাজ করার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত অনেক ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যেও আমরা আমাদের সেরাটা দিতে চাইছি।’’
অনুষ্ঠানে গান গাইছেন আলিপুরদুয়ারের শিল্পীরা। নাচেও শহরের বিশিষ্ট গুণী শিল্পীরা রয়েছেন। ডুয়ার্সের নদী, জঙ্গল ও পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির প্রেক্ষাপটে এক অন্য আঙ্গিকে তুলে ধরা হবে মহিষাসুরমর্দিনীর কাহিনিকে। দেবী দূর্গার ভূমিকায় অভিনয় করবেন পৌলমী ভট্টাচার্য, মহিষাসুরের চরিত্রে থাকছেন পেশায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী উৎসেন্দু তালুকদার। তিনি বললেন, ‘‘মহিষাসুরের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে উৎসাহিত হয়ে রাজি হয়ে গেলাম। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার মাঝে চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার।’’
আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ আইনজীবী জহর মজুমদারও একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই সুযোগ পেয়ে তিনি রীতিমতো রোমাঞ্চিত। বললেন, ‘‘ছোটবেলায় নাটকে অভিনয় করেছি। এই সূযোগ পেয়ে আবার ইচ্ছে হল অভিনয় করার।’’ এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে থাকবেন পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্রজ রায়, প্রিয়া মজুমদার, শর্মিষ্ঠা ভাওয়াল।