প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী সম্পর্ক অমীষার পরিবারের? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়-সুবিধা দেখে, তবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অমীষা পটেলের বাবা-মা। কোনও পঞ্জিকা দেখে নয়, বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর সুবিধামতো। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
অমীষার দাদু রজনী পটেল ছিলেন একজন নামকরা আইনজীবী। তিনি ষাটের দশকে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে মুম্বই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতিও হন। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন রজনী পটেল। সেই সুবাদেই তিনি ইন্দিরাকে বলেছিলেন, তাঁর সময়মতোই বিয়ের তারিখ ঠিক করা হবে ছেলের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন,“আপনি কবে ফাঁকা থাকবেন?” ইন্দিরা জানিয়েছিলেন, তিনি ৪ জুলাই ফাঁকা থাকবেন। সেইমতো বিয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেই দিনটিতেই। দক্ষিণ মুম্বই-এর কোলাবায় তাজমহল প্যালেস-এ বিয়ের আসর বসেছিল অমীষার বাবা-মায়ের।
১৯৭৫ সালের ৯ জুন জন্ম হয় অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, “ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে আমার জন্ম হয়েছিল। আমাকে প্রথম যিনি দেখতে এসেছিলেন, তিনি ইন্দিরা গান্ধী। ছোটবেলা থেকেই এই ধরনের মানুষকে দেখে আমি বড় হয়েছি। দেব আনন্দ সাহাব, দিলীপ কুমার সাহাবও আসতেন। চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেন আমাদের বাড়িতে এসে দেওয়ালে ছবি আঁকতেন। আমি এই সব দেখে বড় হয়েছি। এমনই প্রভাবশালী মানুষদের সান্নিধ্য পেয়েছি। ঈশ্বরের কৃপায় আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল।”
অমীষা এই সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, মনের মতো মানুষ এখনও খুঁজে পাননি বলে বিয়ে করেননি। তবে এখনও বিয়ের আশা রাখেন। এখনও তাঁর কাছে সম্ভ্রান্ত পরিবারের থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু সঙ্গীর মধ্যে কিছু বিশেষ গুণ চান তিনি।
অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি এখনও বিয়ের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু, মনের মতো কাউকে পেলে তবেই বিয়ে করব। আমি এখনও বহু সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেদের থেকে প্রস্তাব পাই। আমার অর্ধেক বয়সি ছেলেরা আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। আমার অসুবিধা নেই। কিন্তু ছেলেটিকে মানসিক ভাবে পরিণত হতে হবে।”