ওই বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্যে অমিতাভ এবং শ্বেতা। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
বিতর্ক আগেই ছিল। এ বার ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের চাপে পড়ে অমিতাভ বচ্চন এবং শ্বেতা নন্দার সাম্প্রতিক একটি গয়নার বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন নির্মাতারা।
বিজ্ঞাপনটিতে ছাপোষা মানুষের পেনশনের জন্য ব্যাঙ্কে ঢুকে এ টেবিল থেকে সে টেবিলে ঘুরে বেড়ানোর কাহিনি দেখানো হয়েছে। সঙ্গে তাঁর কন্যা। কেরলের একটি গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে সম্প্রতি অমিতাভ বচ্চন এবং শ্বেতা নন্দাকে দেখা গিয়েছে এ ভাবেই। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনকে ঘিরেই দানা বাঁধে বিতর্ক।
কেন এই বিতর্ক? কী ছিল ওই ভিডিয়োতে?
আরও পড়ুন, কাস্টিং কাউচের জন্য কিছু বড় ব্যানারের ছবি চলে গিয়েছে, বিস্ফোরক সৌমিলি
দেড় মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েকে (শ্বেতা) সঙ্গে নিয়ে পেনশনের জন্যে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি (অমিতাভ বচ্চন)। তবে পেনশন তুলতে নয়,পেনশন ফেরত দিতে। কারণ এক বারের জায়গায়, দু’বার ঢুকেছিল পেনশন। আর সেই পেনশন ফেরত দিতে গিয়েই হয়রানি। একেবারে শেষে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের টেবিলে হাজির বাবা আর মেয়ে। টাকা ফেরত নিতে অনেক সমস্যা,তাই টাকাটা বাড়ি ফেরত নিয়ে যেতে বলছিলেন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। আর তখনই রেগে যান ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন, ‘কোথাও তুই থমকাবি না’, ডাক দিচ্ছে ‘উড়নচণ্ডী’
এখানেই ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিল ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি। বিজ্ঞাপনটির উপস্থাপনা নিয়েই ছিল আপত্তি। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশনসের তরফে জানানো হয়েছিল,ওই বিজ্ঞাপনে দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছে। অভিযোগ ছিল, আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্কের ওপর আস্থা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল ওই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। সেই আপত্তির জেরেই এ বার বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন নির্মাতারা।
ওই গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার কার্যনির্বাহী অধিকর্তা রামেশ কল্যাণরমন এনডিটিভিকে বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপনটি দেখে যদি কারও খারাপ লাগে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সব রকম মিডিয়া থেকে বিজ্ঞাপনটি তুলে নেওয়া হল।আমরা বুঝতে পেরেছি এই বিজ্ঞাপন কিছু মানুষের আবেগ-অনুভূতিকে আঘাত করেছে। তবে নিছকই কল্পনায় ভর করে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করা হয়েছিল। কোনও ব্যাঙ্ককর্মীকে আঘাত দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’’