পুজোর আগে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে বড় খবর এটাই।
বহু দিন তাঁর নামে শো হয়েছে, তিনি হয়েছেন শো-য়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। কিন্তু এই প্রথম ছোট পর্দায় সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে বাংলা ফিল্মের সুপারস্টার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। শো-য়ের নাম ‘হোম মিনিস্টার বউমা’। শুরু হবে ২০ অক্টোবর, জি বাংলায়। বৃহস্পতি, শুক্র, শনি। রাত সাড়ে ন’টা থেকে দেড় ঘণ্টা।
• বছরের মাঝখানে মুক্তি পাওয়া ‘প্রাক্তন’ সুপারহিট। পুজোর আগেই টেলিভিশনে। ২০১৬ তো দারুণ কাটছে ঋতুর।
“ প্লিজ নজর দেবেন না। এ ছাড়াও চারটে ছবির শ্যুটিং আছে। তবে এই ব্যস্ততার আরেক নাম ঋতুপর্ণা”, তৃতীয়ার বিকেলে বলছিলেন নায়িকা।
• কিন্তু টিভি কেন হঠাৎ?
“বহু দিন ধরেই অনেকগুলো চ্যানেল আমাকে বলছিল শো হোস্ট করতে। কিন্তু আমি সে রকম নতুন কোনও কনসেপ্ট পাচ্ছিলাম না। এ বার যখন ‘জি’ এই কনসেপ্টটা নিয়ে এল, আমাকে বলল আমি ছাড়া হবে না। শুনলাম ‘হোম মিনিস্টার’-এর কনসেপ্টটা। অ্যান্ড আই লাইকড ইট,’’ সাফ জবাব ‘রাজকাহিনী’-র বেগমজান-এর।
• এটাও কি গেম শো?
‘‘হ্যাঁ, এটাও গেম শো। এই গেম শো-টা প্রধানত বাড়ির মেয়েদের জন্য। এতে বউমা-রা থাকবেন। শাশুড়ি, ননদ, জা, সবাই পার্টিসিপেট করবেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের সম্পর্কগুলোর মূল্য তো কমে যাচ্ছে। এই শো-তে কিন্তু সবাই মিলেমিশে কাজ করলে তবেই জিতবে। আমি কিন্তু এই শাশুড়ি, বউমা, ননদ, জা-য়ের একসঙ্গে খেলা করার মধ্যে একটা পজিটিভ সামাজিক মেসেজও দেখতে পাচ্ছি। সেই জন্যই রাজি হলাম,’’ বললেন নায়িকা।
• শোনা যাচ্ছে শো-টা ‘দাদাগিরি’-র স্লটে আসছে? সেটাও কি একটা বড় কারণ ঋতুর এই শো-টা করার ক্ষেত্রে?
‘‘অবশ্যই তাই। ‘দাদাগিরি’’-র স্লটটা ভীষণ প্রেস্টিজিয়াস। আর এটা তো দুপুর বা বিকেলের স্লটের শো নয়। যে প্রাইম স্লটে এটা আসছে, দর্শকের কাছে তার একটা ইমপ্যাক্ট রয়েছে,’’ বললেন ‘হোম মিনিস্টার বউমা’-র হোস্ট।
• কিন্তু টেলিভিশন করাটা তো ভীষণ চাপেরও। এখানে সাংঘাতিক ডিসপ্লিনের মধ্যে শো-য়ের এপিসোড শেষ করতে হয়। ঋতুপর্ণা এত ব্যস্ত, শো বন্ধ রেখে পুজোর উদ্বোধনে কী করে যাবেন, যেটা ফিল্মের সেটে করা যেত?
প্রশ্ন শুনে হেসে ফেললেন ঋতু। “ আমি প্রথম দিনেই বলে দিয়েছি এ রকম একটা ফিক্সড টাইমিং-য়ে কাজ করতে পারব না। আমার শিডিউল ফ্লেক্সিবল রাখতেই হবে। ওরাও আমার কাজের ধরনটা বুঝেছে। সবাই অ্যাডজাস্ট করলে ঠিক হয়ে যাবে,” বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বললেন ‘প্রাক্তন’-এর নায়িকা।
• ঋতুপর্ণার এই শো-য়ের সঞ্চালক হওয়ার ব্যাপারে কী বলছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ?
‘‘আমরা এই শো-য়ের জন্য একজন অল-রাউন্ডার, সফল মহিলা খুঁজছিলাম যিনি খুব পপুলার। হিউজ ফেস ভ্যালু আছে এবং দর্শকের সঙ্গে ইমোশনালি কানেক্ট করতে পারবেন। সে জন্য ঋতুপর্ণা,’’ বক্তব্য জি বাংলার বিজনেস হেড সম্রাট ঘোষ-য়ের।
• কিন্তু টিভি তো টিআরপি-র খেলা এবং সেটাও অসম্ভব নির্মম। সেই খেলায় তাঁর ‘প্রাক্তন’ কো-স্টার প্রসেনজিৎ-কেও সন্ধের স্লট ছেড়ে রাত এগারোটায় চলে যেতে হয়। উনি কি দেখছেন ‘মহানায়ক’?
“আমি দু’-তিনটে এপিসোড দেখেছি, আমার বেশ লেগেছে,” বললেন ঋতু।
• আর ‘দিদি নং ওয়ান’। এত দিন পর তিনি এমন এক মাধ্যমে যেখানে তাঁর বকলমে প্রতিযোগিতা নায়িকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, যিনি টিভিতে দুর্দান্ত সফল। রচনার সঙ্গে তুলনা নিয়ে তিনি কী ভাবছেন?
“দেখুন, আমার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাংলার মানুষের কাছে থাকবে। এবং এবার আমি তাদের ড্রইং রুমে আসছি। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ,” হাসতে হাসতে বলে কাজে ফিরে যান নায়িকা।