অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলা চলচ্চিত্রের ভাষা, বিষয়বস্তু, ভাব প্রকাশের মাধ্যমে স্থবিরতা এসেছে বলে মনে করেন পরিচালক অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন বিমূর্ত দর্শন নিয়ে। তাঁর অনুপ্রেরণা শিবের তাণ্ডবনৃত্য ও শঙ্করাচার্যের দর্শন। তারই প্রতিফলন অনিন্দ্যর দ্বিতীয় ছবি ‘ওয়াচমেকার’।
ছবির গল্প আবর্তিত হবে ‘সময়’কে ঘিরে। এক বিখ্যাত ওয়াচমেকার ভারতের রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি পাঠায়। তার ঘড়ির কাঁটা নাকি পিছনের দিকে ঘুরছে। ওই ওয়াচমেকারের কাছে ঘড়ি বানানোর জন্য দিল্লি থেকে একটি মেয়ে আসে। যার ঘড়ির কাঁটা স্থির। আর একজন ভাস্কর্য শিল্পীও রয়েছে যার অস্তিত্ব ‘সময়’ নির্ভর নয়। গল্পে রয়েছে এক জন সূত্রধরও। অনিন্দ্যর কথায়, ‘‘সভ্যতার সুফল সকল শ্রেণির মধ্যে সমান ভাবে বণ্টন হয়নি। সেই ধারণা থেকেই ছবিতে দেখানো হয়েছে, সময় পিছনের দিকে হাঁটছে।’’ ছবিটি শ্যুট হবে সাদা-কালোয়। ওয়াচমেকারের চরিত্রে থাকছেন অনিন্দ্য নিজে। ঋতাভরী চক্রবর্তী, জয়ী দেবরায়, ঋতব্রত ভট্টাচার্যও আছেন ছবিতে। গল্প বলার ক্ষেত্রে পরিচালকের মাধ্যম এক্সপ্রেশনিজম।
অনিন্দ্যর প্রথম ছবি ‘স্মাগ’ কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে এ বছর।