রিয়্যালিটি শো-র প্ল্যাটফর্ম যেন অনেক পরিণত করে দিয়েছে অন্বেষাকে।
কামালগাজির অন্বেষা দত্ত। সারেগামাপার চ্যাম্পিয়ন থেকে যশ রাজ স্টুডিয়োয় সিঙ্গলস রেকর্ডিং— তাঁর এই যাত্রাপথে মনে করেন স্বপ্নই ছিল মূল কথা। তিনি স্বপ্ন দেখেন তাঁর অনেক গান থাকবে। আসলে সারেগামাপার মঞ্চে সোনু নিগম অন্বেষার গান শুনে বলেছিলেন, “এই দেশে তোমার কণ্ঠ ঝড় তুলবে একদিন। তোমার সঙ্গে ডুয়েট গাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।” সে দিন থেকেই স্থির হয়ে গিয়েছিল অন্বেষার লক্ষ্য। সারেগামাপার এই চ্যাম্পিয়ন ঠিক করে নিলেন আরব সাগরের তীরের শহরে পাড়ি দেওয়ার। সুরকে আরও বড় করে দেখার। “যশ রাজ স্টুডিয়ো মুম্বইয়ের সব চেয়ে বড় স্টুডিয়ো। সেখানে প্রথম যখন রেকর্ডিং করার জন্য পৌঁছই বেশ টেনশন হয়েছিল। কিন্তু খুব সাপোর্ট করেছেন বিজয় দয়ালজি। আমার গলা আর ঋকের কম্পোজিশনের খুব প্রশংসা করেছেন উনি। ওখানকার সকলেই সহযোগিতা করেছেন আমার সঙ্গে”- মিহি গলায় বললেন অন্বেষা।
সারেগামাপার আর এক তারকা ঋকের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করলেন অন্বেষা। গান তৈরির দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন ঋক।
শুরুর পথে সে ভাবে কোনও বাধা না এলেও অন্বেষা জানেন, সিডির জমানা ফুরিয়ে গান এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জের জায়গায় দাঁড়িয়ে। তবে তিনি ফিল্ম মিউজিকের চেয়েও ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিকের প্রচারে মন দেবেন সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন। সেই কারণেই ঋকের মতো অন্য ধারার সুরকারের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান। “গানের ভাবনাও তো এখন বদলেছে। গান মানে কিন্তু ভিডিয়ো, না হলে অনেক মানুষের কাছে এক সঙ্গে পৌঁছন মুশকিল। মানুষ গান শোনার জন্য সময় কম দেন আজকাল। তাই সিঙ্গলস্-এর রাস্তা ধরলাম আমরা”— বলেন অন্বেষা।
আরও পড়ুন
সায়ন্তনীর ‘পেটুক’ কাহিনি
গান দেখার হলেও নিজেকে নিয়ে যথেষ্ট সচেতন তিনি। সহাস্যে বললেন, “গানের মধ্যে দিয়ে নিজেকে এক্সপ্রেস করতে চাই একস্পোজ না।”
গানের স্বপ্নের কথা বলতে বলতে অন্বেষা চলে যান অন্য এক ভাবনায়।
রিয়্যালিটি শো-র প্ল্যাটফর্ম যেন অনেক পরিণত করে দিয়েছে অন্বেষাকে। আজও গান রেকর্ড করে তাঁর সে সময়ের মেন্টর সোনু নিগম, কুমার শানুকে পাঠান। তাঁদের মতামত জানতে চান।
আরও পড়ুন
‘বেডরুম’-এর পর ‘তৃতীয় অধ্যায়’-এ ফিরছেন আবির-পাওলি
যশ রাজ স্টুডিয়োর সাদাব ভাইকে কোনও দিন ভুলবেন না অন্বেষা। বলেন, “সাদাব ভাইয়ের মিক্সিংয়ের জন্য আমি আমার বেস্ট ভয়েস টোনটা পেয়েছি।”
গানের স্বপ্নের কথা বলতে বলতে চলে যান অন্য এক ভাবনায়। অরিজিৎ সিংহকে নিয়ে জানতে চাওয়ায় বলেন, “খুব শিগগিরি হয়তো আমাদের প্রথম দেখা হবে।”
সিঙ্গল না ডুয়েট? কিসের ইঙ্গিত দিলেন অন্বেষা?
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় অন্বেষা দত্তের বদলে ভুলবশত অন্য এক গায়িকার ছবি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)