—প্রতীকী ছবি।
হাওড়া পুরসভার নির্বাচন সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটাতে তৎপর নবান্ন। ওয়ার্ডসংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া আইনি সমস্যার দ্রুত সমাধান করে পুর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হাওড়া পুরসভা আইনে ফের সংশোধনী আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই সংশোধনী আনার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন ছিল, যাতে বুধবার সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রশাসনিক মহলের মতে, আইনে এই সংশোধনী যুক্ত হলেই দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা হাওড়া পুরসভার নির্বাচন করানোর পথে আর বড় কোনও বাধা থাকবে না। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আইন দফতরে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী বিধানসভার অধিবেশনেই সংশোধনী বিল পেশ করে এই জটিলতার অবসান চাইছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্য একটাই— আইনি বাধা দূর করে দ্রুত হাওড়া পুরসভায় ভোট করানো।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। তার জেরে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডসংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে হয় ৬৬ এবং সেই অনুযায়ী হাওড়া পুরসভা আইনে সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে বালিকে ফের আলাদা পুরসভা হিসাবে ঘোষণা করা হলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডসংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫০। সেই অনুযায়ী আইনে ফের সংশোধনী আনার বিল বিধানসভায় পাশ হলেও রাজভবনে দীর্ঘ দিন পড়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার দীর্ঘমেয়াদি ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ৬৬টি ওয়ার্ডে রূপান্তর করে। তখন হাওড়াবাসীর ধারণা ছিল, পুরভোট এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কয়েক মাস আগে রাজভবন বহু দিন আটকে থাকা বিলে সম্মতি দেওয়ায় পরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে ওঠে। কারণ, তত দিনে ডিলিমিটেশন করে ওয়ার্ড সংখ্যা ৬৬ করা হলেও আইনি ভাবে তা নেমে আসে ৫০-এ।
এই দ্বন্দ্ব মেটাতেই ১৯৮০ সালের হাওড়া পুরসভা আইনে ফের সংশোধনী আনছে রাজ্য। সংশোধনী পাশ হয়ে রাজভবনের দ্রুত অনুমোদন মিললে হাওড়া পুরভোট করানোর ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি বাধা থাকবে না বলেই মনে করছে প্রশাসন।