Shooting Coverage Of It's Never Too Late

দু’দিন এক সঙ্গে কাটিয়েই জোর ঝগড়া অর্জুন-অরুণিমা-সায়ন্তনের! সাহেব যোগ দিলে কী হবে?

সায়ন্তনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই তিনি অবশ্যই হেসে ফেলেছেন। জানিয়েছেন, এ রকম পরিবেশেই তাঁরা নাকি অভ্যস্ত!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ২০:১৪
Share:

অর্জুন চক্রবর্তী, অরুণিমা ঘোষ ‘ইট’স নেভার টুু লেট’ ছবির শুটিংয়ে। ছবি: সংগৃহীত।

মাত্র দু’দিন তিন মাথা এক হয়েছেন, তাতেই জোর ঝগড়া! কথা হচ্ছে পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী, অরুণিমা ঘোষকে নিয়ে। ফ্রাইডে ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য সায়ন্তন একটি ছবি বানাচ্ছেন, নাম ‘ইটস নেভার টু লেট’। সেখানেই আরও একবার জুটিতে অর্জুন-অরুণিমা। শুক্রবার থেকে শুটিং শুরু হয়েছে ছবির। আনন্দবাজার ডট কমের কাছে খবর, ইতিমধ্যেই তিন জন এই কাণ্ড বাধিয়েছেন! সবিস্তার জানতে পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি হেসে ফেলে সায় দিয়েছেন। দাবি, “ব্যাপারটা যেমন মিষ্টি তেমনই মজাদার!”

Advertisement

শহরের এক নারী এবং পুরুষের গল্প। ছবির শুটিং হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। কাহিনিকার প্ল্যাটফর্মের কর্ণধার নীলরতন দত্ত। পরে তার বিন্যাস ঘটিয়েছেন পরিচালক এবং সোমনাথ। তাঁরাই চিত্রনাট্যকার, সংলাপ লেখক।

শুটিংয়ের ঠিক আগে অর্জুন-অরুণিমা। ছবি: সংগৃহীত।

পরিচালকের কথায়, “প্রেমের দৃশ্যের শুটিং হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যেরও। তারই মাঝে মজাদার ঝগড়া। আমি যা চিত্রনাট্যে লিখিনি তেমনই কিছু মজার মুহূর্ত জুড়ে দিচ্ছি। অমনি নায়ক-নায়িকা হাঁ হাঁ করে উঠতে যাচ্ছেন। আমিই দায়িত্ব নিয়ে সে সব সামলাচ্ছি আবার। খুব উপভোগ করছি কিন্তু।” এই ছবিতে সমান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে। থাকবেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রবিবার থেকে শুটিংয়ে যোগ দেবেন সাহেব।

Advertisement

চার মাথা এক হলে কী হবে? “নরক গুলজার!” হাসতে হাসতে দাবি পরিচালকের। এ কথা বলেই তিনি শট বোঝাতে অরুণিমার কাছে।

খুব অল্প সময়ের জন্য বিরতিতে অর্জুন। অন্যান্য ছবি বা চরিত্র থেকে এই ছবির চরিত্র আলাদা কোথায়? প্রশ্নের জবাবে অর্জুন বললেন, “শহুরে মধ্যবিত্ত বাঙালি গোগো। একটু বেশি ভালমানুষ। উচ্চাশা আছে। কিন্তু লাগামছাড়া নয়। বাস্তবে অতটাই গোবেচারি নই। যা আমি নই তেমন কোনও চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেই লুফে নিই।” অর্জুন তাই খলনায়কের চরিত্র করতেও ভালবাসেন। এই নিয়ে অরুণিমার সঙ্গে তিন নম্বর ছবি, একটি সিরিজ়। রসায়ন তো আগে থেকেই তৈরি? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন অর্জুনও। জানিয়েছেন, আগাম পরিচিতি বা বন্ধুত্ব থাকলে কাজ করতে অবশ্যই সুবিধা হয়।

কিন্তু মিমি যে সাহেব ওরফে পথিকৃৎকে ভালবাসবে! তা হলে তো ঝগ়ড়া জোরদার হবে...

সেটে আসার আগেই কি ঝগড়ার আভাস পেয়েছেন সাহেব? ফোনে কথা বলে বোঝা গেল, তিনি এর বিন্দুবিসর্গ জানেন না। ত্রিভুজ প্রেমের কথা উঠতেই বলে উঠেছেন, “একটু একটু। পুরোটা নয়! চিত্রনাট্য অনুযায়ী অরুণিমা ওরফে মিমি আমায় প্রথমে ভালবাসবে। পরের গল্প পরে।” সাহেবকে কিন্তু ভীষণ শৌখিন হিসাবে পর্দায় দেখাচ্ছেন পরিচালক। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা, “সারা ক্ষণ আমি বিদেশি জিনিসে মজে। ভীষণ কেতাদুরস্ত, ফ্ল্যামবয়েন্ট। উচ্চাশায় টগবগিয়ে ফুটছি। আমায় দেখলেই মেয়েরা প্রেমে পড়ে যায়... বেশ মজার চরিত্র।”

সাহেব চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা যাবে অর্জুন চক্রবর্তী, অরুণিমা ঘোষের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

আবার পরাণ, অর্জুন। আবারও ফ্রাইডে প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ... অরুণিমাকে কথাগুলো বলতেই উচ্ছ্বসিত। বললেন, “মিমি চরিত্রের কিছুটা আমার মতো। যেমন, আমিও শহরের শিক্ষিত, উচ্চাকাঙ্খী মেয়ে। মজা করতে ভালবাসি। কিন্তু ব্র্যান্ড সচেতন নই। আমার আলমারিতে সাড়ে তিনশো টাকার পোশাকও থাকে।” অনেক দিন পরে কৌতুক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে তিনিও খুশি। ‘ইটস নেভার টু লেট’... কথাটায় বিশ্বাসী অরুণিমা? জবাব দিতে বেশি ক্ষণ সময় নিলেন না নায়িকা। তাঁর দাবি, “মন থেকে বিশ্বাস করি। ছবির নাম তাই খুব পছন্দ হয়েছে। প্রত্যেকটা দিন আমার কাছে নতুন দিন।” অরুণিমা ও অর্জুন একদিন দু’জনেই জলপাই পোশাকে রংমিলান্তি হয়ে সারাটা দিন শুটিং করেছেন।

অনেকের জীবনে অনেক কিছুই হয়তো দেরিতে শুরু হয়। তাতে দোষের কিছু দেখেন না নায়িকা। তাঁর মতে, একেবারে কিছু না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়াও ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement