অর্জুন চক্রবর্তী
প্র: নতুন গাড়ি কিনলেন। লং ড্রাইভে গেলেন কোথাও?
উ: গাড়ি চড়ার সময় কই? অনেক দিন ধরেই শখ ছিল ওই মডেলটা কেনার। সৃজারও (স্ত্রী) খুব পছন্দের মডেল। তাই কিনে ফেললাম!
প্র: সদ্য বাবা হলেন। কেমন লাগছে নতুন ভূমিকা?
উ: আমার চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করছে সৃজা। ও যে মাদারহুডকে এত নিপুণ ভাবে সামলে নেবে, আমি ভাবতেও পারিনি! কাজের জন্য আমি বেশির ভাগ সময়টা বাড়িতে থাকতে পারি না। খারাপ লাগে। কাজে যেতে ইচ্ছে করে না।
প্র: টিভির শেডিউলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন?
উ: ধারাবাহিকের কাজ করলে আর অন্য কিছু করার সময় থাকে! ‘জামাইরাজা’ করতে করতে অন্য কোনও সিরিয়াল করার কথা তাই ভাবছি না। ভবিষ্যতেও করব কি না, জানি না।
প্র: ‘রংবেরঙের কড়ি’ বা ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ বেশ অন্য রকম গল্প নিয়ে তৈরি। চিত্রনাট্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনি কি এগুলো দেখেন?
উ: গল্পটা ইন্টারেস্টিং হলেই আমার চলে যায়। আর ভাল লাগতে হবে পরিচালককে। অন্য কিছু নিয়ে বেশি ভাবি না। অনেকেই আছেন, যাঁরা অনেক ভেবেচিন্তে এক-একটা প্রজেক্ট করেন। আমি আসলে কেরিয়ার নিয়ে অত ভাবি না। যা ভাল লাগে, তা-ই করি।
প্র: একা নায়ক হিসেবে কোনও ছবিতে কাজ করতে ইচ্ছে করে না?
উ: সে ভাবে কোনও চাহিদা নেই আমার। তা ছাড়া আমার ইচ্ছের উপর এগুলো নির্ভরও করছে না।
প্র: এর পর আর কী কাজ করছেন?
উ: বিরসা দাশগুপ্তের ‘ক্রিসক্রস’-এ কাজ করছি। আর অঞ্জন দত্তের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’... যেখানে আমার ট্র্যাকে অরিন্দম শীল আর রাইমা সেনেরও থাকার কথা।
প্র: ‘ক্রিসক্রস’-এ আপনি মিমির বিপরীতে। ওঁর সঙ্গে ‘গানের ওপারে’ নিয়ে আড্ডা হল?
উ: পুরনো দিনের কথা কিছু হল। তবে আড্ডা দেওয়ার সময় সে ভাবে পাইনি আমরা।
প্র: আপনার স্বপ্নের পরিচালক বা চরিত্র নিয়ে একটু বলবেন?
উ: অনেক পরিচালকই আছেন, যাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তাঁদের মধ্যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় রয়েছেন। বাবা-দাদা সকলেই ওঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। আমারটাই বাকি। আর চরিত্র বলতে জেমস বন্ডের মতো কিছু। অ্যাকশন থাকবে, ইন্টেলিজেন্স... জমজমাট ব্যাপার (হাসি)!