স্কুলে ভুতু

কলকাতায় ‘ভুতু’র শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সময় পেলেই বই-খাতা নিয়ে মেয়েকে পড়াতে বসে যেতেন ভুতু ওরফে আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়ের মা ভাস্বতী। কিন্তু মুম্বইয়ে সে সুযোগ হচ্ছিল না। তাই চিন্তায় ছিলেন ভাস্বতী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:০৯
Share:

আর্শিয়া

কলকাতায় ‘ভুতু’র শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সময় পেলেই বই-খাতা নিয়ে মেয়েকে পড়াতে বসে যেতেন ভুতু ওরফে আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়ের মা ভাস্বতী। কিন্তু মুম্বইয়ে সে সুযোগ হচ্ছিল না। তাই চিন্তায় ছিলেন ভাস্বতী। যদিও চ্যানেল দায়িত্ব নিয়ে মুম্বইয়ের পোদ্দার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আর্শিয়া ও তাঁর দিদি অদ্রিজাকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অদ্রিজা নিয়মিত স্কুলে গেলেও আর্শিয়ার যাওয়া হচ্ছিল না। বেশ কিছু দিন হল, সপ্তাহে একদিন করে স্কুলে যায় আর্শিয়া। কিন্তু ওই একদিন গিয়েই ক্লাস টু-র ছাত্রী আর্শিয়া তার স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ‘‘আর্শিয়ার ক্লাসটিচার আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করে নিয়মিত কী পড়া হল, তা জানিয়ে দেন। আমি শ্যুটের ফাঁকে বসে মেয়েকে সে সব পড়িয়ে নিই,’’ বললেন ভাস্বতী। আর্শিয়া অবশ্য নিজের ক্লাসের চেয়ে দিদির ক্লাসমেটদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। ‘‘জানো তো, দিদিকে ওর বন্ধুরা পনেরোটা অটোগ্রাফের খাতা দিয়েছে। সব ক’টাতে নাকি আমাকে নাম লিখতে হবে! অত লিখবই না! আমার হাত ব্যথা হবে। তাই শুধু একটাতে নাম লিখেছি, বাকিগুলোতে দিদিকে বলেছি আমার নাম লিখে দিতে,’’ ছোট্ট আর্শিয়াকে অনেক চেষ্টা করেও তার দিদি এখনও বোঝাতে পারেনি অটোগ্রাফ আর নাম লেখার পার্থক্য!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন