খুবই অসুস্থ নুসরত ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক দিনে তাঁর উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। জেল হেফাজতে পর্যন্ত রাত কাটাতে হয়েছে বাংলাদেশি অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়াকে। নায়িকার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল খুনের চেষ্টার অভিযোগ। প্রথমে গ্রেফতার, তার পরে এক রাতের জেল হেফাজতের পরে আদালতে নায়িকার জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। বাড়ি ফিরে কারও সঙ্গে কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না নায়িকা। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে সে কথাই জানালেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। এর মধ্যে অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারেননি নুসরত।
তাই সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন অভিনত্রী। নিজের ফেসবুকে তিনি লেখেন, “আপনারা অনেকেই আমার খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন বার বার। আপনাদের ভালবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোন ব্যবহারের উপরেও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা।”
তাঁর এই অবস্থার কথা যে সবাই বুঝবেন এমনটাই আশা নুসরতের। গত কয়েক দিন যে খুব ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন সে কথাও পোস্ট করেছেন নায়িকা। তিনি লেখেন, “গত কয়েকটা দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিক ভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।” সবাই পাশে না থাকলে যে এত মসৃণ ভাবে সময় পার করতে পারতেন না তিনি, সেটাই বার বার স্বীকার করেছেন নায়িকা।
গত সোমবার বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছিল নায়িকাকে। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, মঙ্গলবার সকালেই জামিনের আবেদন করেছিলেন অভিনেত্রী। শুনানির পরে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। শুনানির সময় নুসরতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যে সময়ের ঘটনা উল্লেখ করে অভিযুক্ত করা হয়েছে নুসরতকে, সে সময় দেশেই ছিলেন না অভিনেত্রী। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে সমস্ত নথি জমা দিয়েছেন আইনজীবী। তার পরেই অভিনেত্রীর জামিন মঞ্জুর হয়।