Maniul Ahsan Noble

হাঁসফাঁস অবস্থা,হাত বাঁধা লোহার রেলিংয়ে! এ অবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কী বললেন নোবেল?

আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশি গায়ক নোবেল। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ, যৌন হেনস্থার অভিযোগ। শুনানি শুরু হতেই কী বললেন নোবেল?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১১:২২
Share:

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কী বললেন নোবেল? ছবি: সংগৃহীত।

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আবারও মইনুল আহসান নোবেল। যৌন হেনস্থা এবং অপহরণের অভিযোগে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় গায়ককে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউদ্দিন আহমেদের আদালতে শুনানি ছিল। গায়ক জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়নি। মামলায় নোবেলের হাত ২৬ মিনিট ধরে রেলিংয়ে বাধা ছিল। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডেমরা থানার পরিদর্শক মুরাদ হোসেন গায়ককে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার আবেদন করেন।

Advertisement

এ দিন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট মাথায় হেলমেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল নোবেলকে। আদালতে হাতকড়া খোলা হলেও তাঁর ডান হাত লোহার রেলিংয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সে সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কী কথা বলেন নোবেল? বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘কালের কণ্ঠ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নোবেল জানান, তাঁর গরম লাগছে। ওই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট অবিলম্বে যেন খুলে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ তাঁর কথা মানতে রাজি নয়। সটান জানিয়ে দেন গরম লাগলেও এই জ্যাকেট খোলা যাবে না।

এ দিন শুনানির সময় নোবেলের আইনজীবী মহম্মদ জসিমুদ্দিন আদালতে কী বলেন? গায়কের আইনজীবীর দাবি, ২০২৪ সালে ১২ নভেম্বর থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। ধর্ষণের কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। যে মহিলা নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি আসলে গায়কের স্ত্রী। ভুল বোঝাবুঝির জন্যই মামলা করেছেন। এমনকি সেই মহিলা চার মাসের অন্ত্বঃসত্ত্বা। নোবেল তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চান। এ কথা শুনে বিচারক গায়কের আইজীবীকে জিজ্ঞেস করেন নোবেলের কাবিননামা আছে কি না। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, তাড়াহুড়োয় সেটা আনতে তাঁরা ভুলে গিয়েছেন।

Advertisement

তবে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী নোবেলের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ‘কালের কণ্ঠ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে শুনানির সময় তিনি বলেন, “ অনেক সময়ই নোবেলের সাংসারিক এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা ঘটনা উঠে এসেছে। আমার মক্কেলের দাবি সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। তার পর ফোনে কথাবার্তা বলেন তাঁরা। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর তাঁরা দেখা করেন। তখনই নোবেল তাঁকে ডেমরার স্টুডিয়োয় নিয়ে যান।” সেই আইনজীবী জানিয়েছেন, সেখানে ওই মহিলাকে আটকে রেখেছিলেন গায়ক। শুধু তাই নয় আরও ২/৩ জনকে নিয়ে এসে তাঁকে ধর্ষণ, মারধর করেন। এর পরেই গায়ককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই মহিলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement