‘পদ্মাবতী’র পাশে বাংলা।
এ বার গঙ্গাপাড়েও ব্ল্যাক আউট।
বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকেই ‘পদ্মাবতী’র পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর সোমবার টেকনিশিয়ান স্টুডিওর প্রতিবাদ-মঞ্চেও শোনা গেল সেই একই সুর। এমন ঘটনা যে বরদাস্ত করা উচিত নয়, তা-ও জানিয়ে দিল এই মঞ্চ।
আরও পড়ুন, পদ্মাবতী কাণ্ডের প্রতিবাদে ব্ল্যাকআউট করছে বলিউড
আরও পড়ুন, ‘পদ্মাবতী’ বিতর্ক যে প্রশ্নগুলি তুলে দিল
দেশজুড়ে ‘পদ্মাবতী’ ছবি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১৫ মিনিটের কর্মবিরতি অর্থাৎ ব্ল্যাক আউট করছে টলিপাড়া। বেলা ১২টা থেকে সওয়া ১২টা পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিতে বন্ধ থাকবে সমস্ত ধরনের কাজ।এমনকী শুটিং ফ্লোরে আলো নিভিয়ে রাখার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।এ দিন টেকনিশিয়ান স্টুডিওর প্রতিবাদ-সভায় হাজির ছিলেন পরিচালক-অভিনেতা গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ, শ্রীকান্ত মোহতা-সহ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি।সেখানে গৌতম বলেন, ‘‘ছবিটা নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে সেন্সর বোর্ড। এ দেশে ইতিহাস লেখার কোনও ট্র্যাডিশন নেই। ছবিটা আগে মুক্তি পাক। তার পর বিতর্ক হোক। ইতিহাসবিদরা যুক্তি দিয়ে বিচার করুক কোনটা সত্যি, আর কোনটা নয়।’’
টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রসেনজিত্ ও গৌতম ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র।
একই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘সিনেমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে। এক জন অভিনেতাকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সমগ্র পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সেন্সর বোর্ডের আগে প্রতিটি মানুষকে আলাদা করে ছবি দেখাতে হবে।’’
আগামী ১ ডিসেম্বর সঞ্জয় লীলা ভংশালী পরিচালিত ‘পদ্মাবতী’মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুটিং শুরুর পর থেকেই রানি ‘পদ্মাবতী’র নাচের দৃশ্য, ছবিতে আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গে রানির আপত্তিকর স্বপ্ন-দৃশ্য রয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করেন রাজপুত করণী সেনার। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।