কুমার শানুকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কুনিকার। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের পরে নাকি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন কুমার শানু! এমনকি, চরম পদক্ষেপ করার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। এই দাবি ‘বিগ বস্ ১৯’-এর প্রতিযোগী তথা অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দের। এক সময়ে এই কুনিকার সঙ্গেই নাম জড়িয়েছিল কুমার শানুর।
কুনিকা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শানুর কর্মজীবন ঈর্ষণীয় হলেও, ব্যক্তিগত জীবন মোটেই গোছানো ছিল না। রীতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরে নাকি ভেঙে পড়েছিলেন গায়ক। এমনকি, জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন তিনি।
কুমার শানুর সঙ্গে তাঁর ৬ বছরের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছিলেন কুনিকা। সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে, তাঁরা পরস্পরকে স্বামী-স্ত্রীর মতোই দেখতেন। কী ভাবে প্রেম হয়েছিল শানুর সঙ্গে, সেই ব্যাপারেও মুখ খুলেছিলেন কুনিকা। তিনি জানিয়েছিলেন, উটি-তে একটি শুটিং করার সময়ে হঠাৎই শানুর সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়। সেই সময়ে অভিনেত্রী হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন কুনিকা। অন্য দিকে, শানু তাঁর বোন ও ভাইপোর সঙ্গে উটি বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই শানু ও কুনিকার প্রথম দেখা।
প্রথম দেখাতেই আলাপ। সেখান থেকেই প্রেমের আভাস শুরু। কুনিকা বলেছিলেন, “আমরা উটিতে একসঙ্গে নৈশভোজ করছিলাম। তিনি (শানু) মদ্যপান করছিলেন। হঠাৎই খুব কাঁদতে শুরু করেন। হোটেলের জানলা থেকে ঝাঁপ দিতে চাইছিলেন সেই রাতে তিনি।”
শানু নাকি অবসাদে ভুগছিলেন তখন। কান্নাকাটি করতে দেখে গায়ককে শান্ত করছিলেন তাঁর বোন ও ভাইপো। এই দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন কুনিকাও। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “সত্যি কষ্ট পাচ্ছিলেন শানু। আমারও খারাপ লাগতে শুরু করে। কিন্তু বিয়ে ভেঙে দিয়ে সন্তানদের ছাড়তে চাননি তিনি। শান্ত হওয়ার পরে ওঁকে বোঝাই, সন্তান ও কাজের প্রতি তাঁর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সেই থেকেই আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়েছিল বলে মনে হয়।”
উটি থেকে ফিরে আসার পরে কুনিকার বাড়ির কাছেই একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিলেন শানু। প্রায়ই খাবারের আদানপ্রদান হত তাঁদের মধ্যে। কুনিকার পরামর্শে নাকি ওজনও কমিয়েছিলেন গায়ক। কিন্তু অনুষ্ঠান ছাড়া একসঙ্গে প্রকাশ্যে আসতেন না তাঁরা। কিন্তু আড়ালে নাকি প্রায় স্ত্রীর ভূমিকাই পালন করতেন কুনিকা। তবে ক্রমশ তাঁর মোহভঙ্গ হতে শুরু করে।
এর মধ্যে কুমার শানুর স্ত্রীও ঘটনার কথা জানতে পেরে যান। কুনিকা বলেছিলেন, “ওঁর স্ত্রী আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছিলেন হকি স্টিক দিয়ে। আমার বাড়ির বাইরে এসে চিৎকার করতেন। কিন্তু আমি ওঁর অবস্থা বুঝতে পেরেছিলাম। শানুকে নিজের জীবনে ফেরত চাননি তিনি। শুধু সন্তানদের জন্য অর্থের দাবি করেছিলেন।”