Alia -Ranbir

আলিয়ার জুতো হাতে নিয়ে স্ত্রীর পিছন পিছন কোথায় গেলেন রণবীর?

২০ এপ্রিল গত হয়েছেন প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার মা পামেলা চোপড়া। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আদিত্যর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন রণবীর-আলিয়া। সেখানেই দেখা গেল এক অন্য রকম দৃশ্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩৭
Share:

আলিয়ার এবং রণবীরের বিরল দৃশ্য। —ফাইল চিত্র।

২০ এপ্রিল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পামেলা চোপড়া। ‘যশরাজ ফিল্মস্‌’-এর অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। তাঁকে শেষ বারের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বলিপাড়ার বিশিষ্টরা। করিনা কপূর খান থেকে অজয় দেবগন, কাজল প্রত্যেকে উপস্থিত হয়েছিলেন। ছেলে আদিত্য চোপড়া, উদয় চোপড়া, পুত্রবধূ রানি মুখোপাধ্যায়-সহ চোপড়া পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সকলে। পরের দিন আদিত্য ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আলিয়া ভট্ট এবং রণবীর কপূর।

Advertisement

আলিয়ার পরনে ছিল সাদা সালোয়ার আর রণবীরকে দেখা গেল সাদা টি-শার্ট আর নীল জিন্‌সে। বাড়িতে ঢোকার সময় সিঁড়িতেই নিজের জুতো খুলে ঘরের মধ্যে ঢুকে গেলেন আলিয়া। নায়িকার পিছনেই ছিলেন স্বামী রণবীর। সিঁড়ির মাঝে আলিয়ার জুতো দেখে নিজেই হাতে করে তুলে নিলেন। তুলে নিয়ে যথাস্থানে সরিয়ে রাখলেন আলিয়ার পাদুকাজোড়া। এই দৃশ্য চোখ এড়ায়নি আলোকচিত্রীদের। সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড হয়ে গেল ভিডিয়ো। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে এমনই এক দৃশ্য ফ্রেমবন্দি হয়েছিল ‘নীতা মুকেশ অম্বানী কালচারাল সেন্টার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেই পার্টিতে বান্ধবী সাবা আজ়াদের হিল জুতো নিজের হাতে নিয়ে ঘুরেছিলেন অভিনেতা হৃতিক রোশন। যা দেখে ‘ওয়ার’ ছবির অভিনেতার অনুরাগীদের মত, প্রেমিক হলে তিনি যেন হৃতিকের মতোই নিবেদিতপ্রাণ মানুষ হন।

এ দিকে পামেলার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন অনেকে। এক প্রজন্মের প্রায় অনেকেই চলে যাচ্ছেন পর পর। বৃহস্পতিবার সকালে দুঃসংবাদ পাওয়ার পরই অমিতাভ শুটিং ছেড়ে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আদিত্যর বাড়িতে। পামেলা চোপড়ার মৃত্যু প্রসঙ্গে অমিতাভ লেখেন, “প্রথম দিনগুলি কখনও প্রত্যাশার দিন এবং অজানা উপাদানের দিন... এবং আজকের প্রথম দিনটি আলাদা ছিল না। মানুষ, ক্রু, কাজকর্ম। সমস্ত অজানা এবং আশ্চর্যের মধ্যে প্রত্যাশা জেগে ছিল। চরিত্র হয়ে ওঠার চেষ্টার মাঝে যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়ার চলে যাওয়ার আকস্মিক খবর আসে এবং জীবন স্থবির হয়ে পড়ে! তাই তাঁর সঙ্গে সিনেমা বানানো, সঙ্গীত নির্মাণ, আউটডোর এবং পারিবারিক গেট টুগেদারের সঙ্গে কাটানো অনেক স্মৃতি, সব যেন এক লহমায় চলে যায়।”

Advertisement

বর্ষীয়ান অভিনেতা আরও যোগ করেন, “তারা সবাই একে একে সবাই আমাদের ছেড়ে চলে যায়। সব আনন্দ সঙ্গে নিয়ে চলে যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন