Sanya Malhotra on menstruation

‘ঋতুস্রাব হলে মাটিতে শুতে হবে’, রজঃস্বলাদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন সান্য মলহোত্র

ঋতুস্রাব হলে এখনও মহিলাদের ফিরে যেতে হয় তাদের বাপের বাড়িতে! ঋতুস্রাব নিয়ে এতই ছুতমার্গ রয়েছে যে, কিছু ক্ষেত্রে মাটিতে শুতে হয় রজঃস্বলা মহিলাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪২
Share:

ঋতু্স্রাব নিয়ে কথা বললেন সান্য। ছবি: সংগৃহীত।

সালটা এখন ২০২৫। ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে বিশ্ব। কিন্তু এখনও নাকি বেশ কিছু জায়গায় ঋতুস্রাবের জন্য মুখ লুকোতে হয় মহিলাদের। এমনই ঘটনা ভাগ করে নিলেন সান্য মলহোত্র। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সান্যের ছবি ‘মিসেস’। ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে এক মহিলার শ্বশুরবাড়ির জীবনযাপন। নিজের স্বপ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সেবায় মন দিতে হয় ওই মহিলাকে। ক্রমশ সে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পায়। ছবি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সেই ‘মিসেস’-কে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারেই মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বলেন সান্য।

Advertisement

ঋতুস্রাব হলে এখনও মহিলাদের ফিরে যেতে হয় তার বাপের বাড়িতে! ঋতুস্রাব নিয়ে এতই ছুতমার্গ রয়েছে যে, কিছু ক্ষেত্রে মাটিতে শুতে হয় রজঃস্বলা মহিলাকে। এই যুগেও এমন হয়, জানতে পেরে হতবাক সান্য। অভিনেত্রী বলেছেন, “এই ছবির প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে বহু মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এমন কয়েক জন বিবাহিত মহিলাকে দেখেছি, যাঁদের ঋতুস্রাবের সময়ে নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে যেতে হয়। কারণ, সেই সময়ে শ্বশুরবাড়িতে মাটিতে শুতে বলা হয় তাঁদের।”

সান্য তাঁর অতি ঘনিষ্ঠ এক মহিলার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার খুব কাছের একজন বলেছেন, ‘আমি ঋতুস্রাবের সময়ে বাড়ি ফিরে যাই। কারণ ওই সময়ে আমাকে রান্নাঘরেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আবার নিজের বিছানাতেও শুতে দেওয়া হয় না।’ আমাদের বাড়িতে এই সব হয় না বলে আমরা ভাবি, এগুলো হয়তো বহু দূরের ঘটনা। কিন্তু ২০২৫-এও এমন হচ্ছে। আজও এমন সব বিষয় মহিলাদের সহ্য করতে হচ্ছে।”

Advertisement

‘মিসেস’-এর প্রশংসায় মেতেছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। কিন্তু নিন্দকদের অভাব নেই। ‘সেভ ইন্ডিয়ান ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন’ (সিফ) নামে এক সংগঠনের দাবি, এই ছবি নাকি উগ্র নারীবাদের প্রচার করেছে। তবে এই দাবি করে সমালোচিতও হয়েছে এই সংগঠন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement