ইন্দ্রাণী হালদার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
উইকিপিডিয়া বলছে তাঁর বয়স ৪৬। আর নায়িকাদের বয়স নিয়ে কৌতূহল তো থাকবেই। তবে আজ তিনি বার্থডে গার্ল। তাই বয়সের হিসেব না নিয়ে প্রথমেই তাঁকে উইশ করুন। তিনি অর্থাত্ অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার।
ইন্দ্রাণীর ভক্তরা বলেন, এক সময় নাকি তিনি টালিগঞ্জ-মুম্বই কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন। এতটাই কাজের চাপ ছিল। টলি পাড়া ছেড়ে মুম্বইয়ের টেলি জগতে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। ফের থিতু হয়েছেন টালিগঞ্জে। ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ ইন্দ্রাণীকে এখন ‘সীমা-রেখা’ নামে চেনেন সিরিয়াল দর্শক। ‘ময়ূরাক্ষী’র মতো ছবিতে ‘সাহানা’ হয়েও তিনি মন জয় করেছেন দর্শকদের। তবে জন্মদিনে কোনও শুটিং নয়। তা হলে?
এ বছরের জন্মদিনটা একটু অন্য ভাবে কাটাতে চান ইন্দ্রাণী। জন্মদিনের সকালে বেহালার একটি শিশুদের হোম এবং একটি বৃদ্ধাশ্রমে গেলেন নায়িকা। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে সময় কাটালেন। হঠাত্ এমন ইচ্ছে?
আরও পড়ুন, ‘বাংলা ছবি শেষ পর্যন্ত হয়তো শখের থিয়েটারে পরিণত হবে’
ইন্দ্রাণী বললেন, ‘‘জন্মদিনে ওদের জন্য প্রত্যেক বছরই কিছু কিনে পাঠানোর চেষ্টা করি। তবে এ বার নিজে আসতে পেরেছি, সেটাই ভাল লাগছে।’’
আর বার্থডে স্পেশ্যাল মেনু? অনেকের মতোই মায়ের হাতের রান্না তাঁর পছন্দের। ‘‘এমনিতেই আমি খুব কম খাই। রোজই প্রায় মায়ের হাতের রান্নাই খাই। তবে পোলাও ভালবাসি। আজ হয়তো মা পোলাও করবে,’’ খুশি ঝরে পড়ল নায়িকার গলায়।
আরও পড়ুন, ‘বুম্বাদাকে বিট করার মতো বোকামি এ জন্মে করতে পারব না’
উপহার ছাড়া আবার জন্মদিন হয় নাকি? ইন্দ্রাণীও অনেক উপহার পাবেন। তবে সেরা উপহার পাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। আর তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মনখারাপের গন্ধ। ইন্দ্রাণী শেয়ার করলেন, ‘‘বাবা অনেক দিন হল চলে গিয়েছেন। আমার প্রত্যেক জন্মদিনে বাবা আমাকে টেডিবিয়ার কিনে দিতেন। আমি খুব ভালবাসি টেডিবিয়ার। মা এখনও মাঝেমধ্যে কিনে দেন। তবে বাবার দেওয়া গিফট আমার সেরা পাওনা। বাবাও চলে গিয়েছে, আর আমাকে টেডিবিয়ার দেওয়ার কেউ নেই।’’