সাত পাকে বাঁধা পড়লেন রজনীকান্ত কন্যা সৌন্দর্যা। জমজমাট এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিবিদ থেকে দক্ষিণ ভারতীয় ছবির তারকা প্রত্যেকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান যেন চাঁদের হাট।
দ্বিতীয় বারের জন্য গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি। ২০১০ সালে অশ্বিন রামকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় সৌন্দর্যার। পরবর্তীতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
প্রথম পক্ষের ছেলে বেদকে নিয়েই মেহেন্দি অনুষ্ঠান সারেন সৌন্দর্যা।
সৌন্দর্যার স্বামী অভিনেতা-ব্যবসায়ী বিশাগন বননগামুডি। বিশাগনেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথমে তিনি বয়ে করেন এক সাংবাদিক কণিকা কুমারনকে। বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদেরও। এর পরই গ্রাফিক ডিজাইনার ও ফিল্মমেকার সৌন্দর্যার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।
রজনীকান্তের মেয়ের বিয়েতে এসেছিলেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন।
উপস্থিত ছিলেন আলাগিরি, ভাইকো।
উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীও। উপস্থিত ছিলেন রজনীকান্তের জামাই ধনুষ, লক্ষ্মী মাঞ্চু, অদিতি রাও হায়দারি, মণিরত্নম ও মোহন বাবু।
উপস্থিত ছিলেন কমল হাসনও। রজনীকান্তের সঙ্গেও বিয়ের আচারের বেশ কিছু কাজে সাহায্য করেছেন তিনি।
অতিথিদের অভ্যর্থনায় ব্যস্ত ছিলেন মেয়ের বাবা রজনীকান্ত ও তাঁর স্ত্রী।
বাবার সঙ্গে সৌন্দর্যা একটি ছবি পোস্ট করেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে।
আবু জানি-সন্দীপ খোসলার ডিজাইনের পোশাক পরেছিলেন সৌন্দর্যা।
সৌন্দর্যার মেক আপ শিল্পী প্রকৃতি অনন্ত পোস্ট করেছিলেন সৌন্দর্যার একটি ছবি, তিনি পরেছিলেন কাঞ্চিপুরম সিল্ক শাড়ি । ভাইরাল হয় সেটি। সৌন্দর্যার চুল বাঁধার একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর বিনুনিতে ফুল দিয়ে যে ভাবে সাজানো হয়েছিল, তা একেবারেই সনাতনী দক্ষিণ ভারতীয় ঘরানায়।
সৌন্দর্যার সঙ্গে বিশাগনের প্রি-ওয়েডিংয়ের ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে। সৌন্দর্যা বলেন, ছেলে, বাবা, আর এখন থেকে বিশাগন আমার জীবনের তিন জন দেবদূত।
একেবারে সনাতনী দক্ষিণ ভারতীয় প্রথায় বিষ্ণু ও শিবের পুজো দিয়ে শুরু হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান।
বিশাগনের পরিবারের আত্মীয়রাও জমজমাট এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।