বলিউড তারকাদের কাজের চাপ নাকি মারাত্মক। অন্তত ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন মহলে তেমনটাই শোনা যায়। কিন্তু জানেন কি, এই ব্যস্ততার মাঝেও সোশ্যাল জীবনে যথেষ্ট অ্যাকটিভ এই তারকারা। গ্যালারির পাতায় দেখে নিন কতগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য এই সেলেবরা।
রিচা চড্ডা। অভিনেত্রীর সব ভাইবোনই বিদেশে থাকেন। তাই তাঁদের সঙ্গে নিত্যদিন কথা বলার উপায় হোয়াটসঅ্যাপ। রিচা একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, ‘গ্লোবাল ছড়ে’ নামে একটি গ্রুপের সদস্য তিনি।
তুষার কপূর আবার চার-চারটি গ্রুপের সদস্য। হোয়াটসঅ্যাপে আলাদা আলাদা করে স্কুলের বন্ধু, গোলমাল ছবির সদস্য, পরিবার এবং পিআর-দের সঙ্গে আলাদা করে একটি গ্রুপে কথা বলেন অভিনেতা।
কুণাল খেমু নাকি একাধিক গ্রুপের সদস্য হয়ে পড়েছিলেন। তবে কিছুদিন আগেই বেশ কয়েকটি অপ্রয়োজনীয় গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। একটি সাক্ষাত্কারে কুণালের দাবি, এই মুহূর্তে অন্তত ৩-৪টি গ্রুপের সদস্য রয়েছেন তিনি।
পরিণীতি চোপড়া কতগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাকটিভ শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। সংখ্যাটা নাকি ২২ থেকে ২৫-এর মধ্যে। সবই নায়িকার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের তৈরি করা গ্রুপ। তবে সব গ্রুপেই ‘মিউট’ করে রেখেছেন অভিনেত্রী।
অভিনেতা রাজকুমার রাও আবার ৪ থেকে ৫টি গ্রুপে অ্যাকটিভ। তবে স্কুলের বন্ধুদের গ্রুপ ‘সিদ্ধেশ্বরিয়াস’-এই সবচেয়ে বেশি মেসেজ করেন তিনি।
রাধিকা আপ্তে ৬টি গ্রুপে অ্যাকটিভ। তবে কোনওটিই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে জড়িত না। শুধু মাত্র কাজের জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অভিনেত্রী।
আয়ুষ্মান খুরানা আবার ৫টি গ্রুপের সদস্য। স্কুলের প্রায় ৫০জন বন্ধুদের একটি গ্রুপে সবচেয়ে বেশি অ্যাকটিভ নায়ক। এই গ্রুপে ১৫ বছরের ছেলেদের মতোই নাকি আলোচনা করেন তাঁরা।
সোহা আলি খানও ১০টি গ্রুপের সদস্য। পরিবার, কাজ, পিআরদের পাশাপাশি প্রতিটি পার্টির আগও নাকি নতুন গ্রুপে ঢুকে পড়েন নায়িকা। তবে মাঝে মাঝে সেগুলি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়লেন বেরিয়ে পড়েন নায়িকা।
তবে ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপ বিষয়টা ঠিক তাঁর জন্য নয়। তাই কোনওদিনই হোয়াটসঅ্যাপ করেন না নায়িকা।