উঠতি: অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।
কেউ হতে চান চিত্রনাট্যকার। কারও স্বপ্ন অভিনেতা হওয়ায়। কাজের সূত্রেই আলাপ। কাজের সূত্রেই ফের একসঙ্গে মিলিত হওয়া প্রাণের শহরে।
শুক্রবার খড়্গপুরের একটি সিনেমা হলে রেলশহরের আট যুবক-যুবতীর বাড়তি উচ্ছ্বাসটা চোখে পড়ছিল সহজেই। উপলক্ষ হিন্দি অ্যাকশন কমেডি ‘ছপ্পন ভাই’য়ের প্রিমিয়ার শো। সেখানে নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টা, খুনসুটিতে মেতে উঠলেন ওই আটজন। প্রত্যেকেই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অর্জুনকুমার গুপ্ত পরিচালিত ‘ছপ্পন ভাই’-এর কিছুটা অংশের শ্যুটিং হয়েছে এই খড়্গপুরেই।
রেল শহরের বাসিন্দা নওসাদ উল্লা একাধারে এই সিনেমার সহ পরিচালক এবং অভিনেতা। নায়িকার চরিত্রে রয়েছেন মালঞ্চর বাসিন্দা সৌরিসঞ্জরি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন ইন্দার রাজ মুখোপাধ্যায়, মালঞ্চর অজিতাভ শর্মা, পাঁচবেড়িয়ার শেখ হিরা, আব্দুল বাজিদ, নিমপুরার বিশ্বজিত সিংহ ও ঝাপেটাপুরের ঋতুরাজ কুমার। কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব সরাসরি। কারও সঙ্গে পরিচয় ‘কমন ফ্রেন্ডে’র মাধ্যমে। কেউ আগে ছোটখাটো কাজ করেছেন। কেউ বা একেবারে নবাগত। সকলেরই স্বপ্ন এক। সেলুলয়েডে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর আট যুবক যুবতীর প্রার্থনাও এক। ‘ছপ্পন ভাই’-এর থেকে যেন মুখ না ফেরায় শহরবাসী। গত ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পরে কলকাতার কয়েকটি হলে চলেছে এই ছবি। তা হলে খড়্গপুরে প্রিমিয়ার শো কী ভাবে? পরিচালক জানালেন, এই সিনেমার পরিবেশনার দায়িত্বও তাঁর উপর। এক সঙ্গে সব জায়গায় রিলিজ হয়নি সিনেমার। তাই এ দিন প্রিমিয়ার শোয়ের মাধ্যমে খড়্গপুরে পথ চলা শুরু করল ‘ছপ্পন ভাই’।
২০১৭সালের গোড়ায় সেখানেই এই ‘ছপ্পন ভাই’য়ের পরিকল্পনা। নওসাদ বলছিলেন, “আমরা টুক-টাক অভিনয় করছিলাম। সেই সূত্রেই অর্জুন গুপ্তর সঙ্গে আলাপ। শুরু থেকেই পরিকল্পনা ছিল সিনেমা হলে চলার মতো সিনেমা তৈরি করব। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে এখন মনে হচ্ছে কাজটা ভালই হয়েছে।” নায়িকা সৌরিসঞ্জরি বললেন, ‘‘আমি মডেলিং ও অভিনয়ের প্রশিক্ষণের পরে মূলত ছোট-ছোট বাংলা সিনেমায় আগে অভিনয় করেছি। এই শহরের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে হিন্দিতে সরগর। কাজ করতে অসুবিধা হয়নি। বাকিটা দর্শক বলবে।”
সিনেমার গল্পেও রয়েছে বন্ধুত্ব। রাজ, রাহুল ও চন্দু, তিন যুবক। সকলেই একে-অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁদের পছন্দ-অপছন্দ প্রায় সমান। অবশ্য প্রেমের ক্ষেত্রে বিপদ বাড়িয়েছে এই পছন্দ। প্রিয়াঙ্কা নামে এক তরুণীকে দেখে মন মজেছে ওই তিন যুবকের। কে আগে তরুণীর মন জয় করবে সেই প্রতিযোগিতা চলেছে হাসি-মজায়। এমন সময়েই ছপ্পান ভাই নামে এক মাফিয়ার আর্বিভাব। তাঁরও মনে ধরে প্রিয়াঙ্কাকে। সেই সূত্র ধরে তিন বন্ধুর সঙ্গে ছাপ্পান ভাইয়ের সংঘাত। শেষমেশ এই লড়াই এড়িয়ে অন্য এক যুবকের হাত ধরেছে প্রিয়াঙ্কা। পরিচালক অর্জুন বলেন, “অনেক পরিশ্রম করে সকলেই এই সিনেমা তৈরি করেছি। আশা করছি দর্শক নিরাশ হবেন না।”