প্রায় শেষ বিকেলেও ঘুম-জড়ানো গলা। মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, ‘‘সেক্স-ওয়ার্কারদের মতোই শিডিউল হয়ে গিয়েছে আমার। দিনে ঘুম। রাতে টানা কাজ।’’
কলকাতার মেয়ে চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী। বছর তিন-সাড়ে তিন ধরে সল্টলেকে চিত্র পরিচালক-মা শতরূপা সান্যালের ডেরা ছেড়ে মুম্বইয়ে। এত দিন মূলত থিয়েটারই করছিলেন। কখনও মানব কওল, তো কখনও মকরন্দ দেশপাণ্ডের সঙ্গে। সুমন মুখোপাধ্যায়ের সিনে প্লে ‘চোখের বালি’তেও কাজ করেছেন। অনুরাগ বসুর টিভি সিরিজ ‘স্টোরিজ বাই রবীন্দ্রনাথ টেগোর’-এও ছিলেন। সদ্য প্রথম হিন্দি ফিচারে এলেন। ছবির শ্যুটিং চলছে পাওয়াই-এর এক বস্তিতে। গভীর রাত থেকে দিনের আলো ফোটা অবধি। পরিচালক আদিত্য কৃপলানীর এই ছবিটির নাম ‘টিকলি অ্যান্ড লক্ষ্মীবম্ব’। পুরোপুরি ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এ তৈরি হতে চলা এই ছবির কাহিনি আদিত্যরই। দুই সেক্স-ওয়ার্কারের গল্প। তাঁদের একজন লক্ষ্মী। বয়স বছর চল্লিশ। অন্যজন টিকলি, সবে ২২।
মহল্লার অন্যদের চেয়ে টিকলি আলাদা। স্বাধীনচেতা। তার সাফ কথা, পুরুষগুলো শুধুই সুখ পেতে আসে তাদের কাছে, বিপদে পড়লে তো ফিরেও তাকায় না! তা ছাড়া গতর খাটিয়ে রোজগার করে কেন তারা হপ্তা গুনবে? কেন পুলিশি হুজ্জুতি সামলাবে? দালালিই বা কেন মানবে...টিকলি রুখে দাঁড়ায়! টিকলির এই রুখে দাঁড়ানোর কাহিনিতেই বোনা ছবিটি। ‘টিকলি’ করছেন চিত্রাঙ্গদা। ওঁর সঙ্গে আছেন বিভাবরী দেশপাণ্ডে, উপেন্দ্র লিমায়, সুচিত্রা পিল্লাই। ছবির গান লিখেছেন আদিত্য নিজে। এছাড়া ‘লক্ষ্মী ব্যান্ড’ নামে একটি ব্যান্ডের কিছু গানও ছবিতে থাকছে।