প্রচারই সার, নেহাতই একপেশে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’

ছবিটি নরেন্দ্র দামোদারদাস মোদীর উত্থানের গল্প। অনামী কিশোর থেকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সফর।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৯ ০০:০১
Share:

বায়োপিক আর ব্যক্তি-প্রচারের মধ্যে পার্থক্য আছে। কারও জীবনী দেখাতে হলে তাঁর স্খলন-পতনও তুলে ধরতে হয়। প্রোপাগান্ডা করতে নামলে অবশ্য সে দায় থাকে না। উমঙ্গ কুমার ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবিটি আর যা-ই বানিয়ে থাকুন, সিনেমা বানাননি! অথচ আবেগ থেকে অ্যাকশন সবই আছে। কিন্তু নেহাতই একপেশে।

Advertisement

ছবিটি নরেন্দ্র দামোদারদাস মোদীর উত্থানের গল্প। অনামী কিশোর থেকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সফর। চা-ওয়ালা থেকে প্রধানমন্ত্রিত্বে উত্তরণের কাহিনি। সামান্য হলেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছু বিনোদন মিলবে। কিন্তু প্রথম আধঘণ্টায় আরোপিত আবেগ ছাড়া কিচ্ছু নেই। নির্মাতারা শুরুতেই জানান, মোদীর চরিত্র নির্মাণে কিছু নাটকীয়তার আশ্রয় তাঁরা নিয়েছেন। দরকার ছিল না। তাঁর উত্থানের বাস্তব চিত্র কম নাটকীয় নয়। যুবক মোদীকে (বিবেক ওবেরয়) বরফের মধ্যে খালি পায়ে না হাঁটালেও চলত। কে জানে, বায়োপিককে সত্যতার মর্যাদা দিতেই হয়তো মোদী কেদারনাথ সফর করলেন!

স্বাভাবিক ভাবেই এ ছবিতেও বিরোধীপক্ষকে হাস্যাস্পদ করা হয়েছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গোধরা কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিলেন মোদী। ছবিতে তা দেখানো হলেও একটা পরত রয়েছে এবং তা মোদীর সমর্থনেই। গোটা ছবিতে সবচেয়ে জোর দেওয়া হয়েছে মোদীর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। টাটা গোষ্ঠীর বিনিয়োগ, গুজরাতের উন্নয়ন এবং মোদীর দিল্লি আগমন-সহ নানা অধ্যায় দেখিয়েছেন উমঙ্গ। কিছু বিষয় এড়িয়েও গিয়েছেন। যেমন যশোদাবেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে। বরখা বিশ্‌তকে ঠিক এক ঝলক দেখানো হয়েছে। তিনি যে যশোদাবেন, তা বোঝার উপায় নেই!

Advertisement

পিএম নরেন্দ্র মোদী

পরিচালনা: উমঙ্গ কুমার
অভিনয়: বিবেক, মনোজ, জ়ারিনা
৪.৫/১০

আর একটি চরিত্রও বোঝা গেল না। সব সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলা এক ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের সঙ্গে মোদীর বৈরিতা। ‘না খায়েঙ্গে, না খানে দেঙ্গে’ তত্ত্বে যার সঙ্গে বিরোধ। উমঙ্গ ছবিতে ওই ব্যক্তির উপরেই গোধরা কাণ্ড-সহ যাবতীয় মোদী বিরোধিতার দায় চাপিয়েছেন।

চরিত্রায়নের কথা বললে মোদী ছাড়া আর কোনও চরিত্রই জোরালো নয়। অমিত শাহের (মনোজ জোশী) সঙ্গে তাঁর জুটিকে জয়-বীরু বলে তুলনা করা হলেও আসলে এটি ওয়ান ম্যান শো। বিবেক ওবেরয় চেহারা, বাচনভঙ্গি সবেতেই নরেন্দ্র মোদীর চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্য।

নির্বাচন কমিশন ভোটের আগে মোদীর বায়োপিকের রিলিজ়ে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল। যে সংখ্যা নিয়ে মোদী দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রিত্বে সওয়ার হলেন, তাতে এটা স্পষ্ট একটা ছবিতে কিছু যায় আসত না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement