মশলা মুড়ি

এটা টলিউডের একজন নায়িকার পক্ষেই সম্ভব। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ভ্যালেন্টাইনস ডে-র আগের রাত থেকে নায়িকা যাকে বলে সুপার-বিজি। মনও রয়েছে বেশ ফুরফুরে। কারণ তাঁর ছবি ‘মহানায়িকা’ সেদিন হাউসফুল হয়েছে নন্দনে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:০২
Share:

হানির ‘মানহানি’

Advertisement

কলকাতায় এসেছিলেন একটি বিয়ের ‘সঙ্গীত’ অনুষ্ঠানে গান গাইতে। তখনই ইন্টারভিউয়ের জন্য রিকোয়েস্ট করা হয় ইয়ো ইয়ো হানি সিংহকে। এমনকী যে বিয়েবাড়ির জন্য এসেছিলেন, তাঁদের তরফ থেকেও আলাদা ইন্টারভিউয়ের রিকোয়েস্ট যায় তাঁর এবং ম্যানেজারের কাছে।

কিন্তু হলে কী হবে? ‘চার বটল ভডকা’ খ্যাত হানি কিছুতেই ইন্টারভিউ দেবেন না। এমনকী ইন্টারভিউ না দেওয়ার নানা ছুতো দিলেন তাঁর ম্যানেজারও।

Advertisement

অবশ্য মুম্বই ফিরে যাওয়ার পর জানা গেল আসল ঘটনাটা।

দুর্জনেরা বলে গত দেড় বছর ধরে নাকি ‘রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’-এ ছিলেন এই গায়ক। সেই থেকেই ডিপ্রেশন। এখনও নাকি এই ডিপ্রেশন থেকে পুরোপুরি বের করে আনতে পারেননি নিজেকে।

সত্যি? কে জানে!

‘দাড়ি’য়ে আছ তুমি আমার...

দাড়ি রাখছেন রাজ চক্রবর্তী।

সেদিন হঠাৎ করে সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর বাড়িতে একগাল দাড়ি নিয়ে ঢুকলেন রাজ। দাড়ি দেখেই একগাল হেসে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘কীরে রাজ, কার জন্য দাড়ি রাখছিস?’’

প্রশ্ন শুনে রাজ লজ্জায় লাল। তার পর সৃজিত নিজে গিয়ে রাজের দাড়িতে কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে হেসে বললেন, ‘‘বুঝে গিয়েছি, এমন দাড়ি কার ভাল লাগে,’’ বলে পারস্পরিক চোখের ইশারা করলেন দুই পরিচালক। অন্য দিকে পুরো কথোপকথন শুনে সামনে বসা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় শুধু বললেন, ‘‘সৃজিত কি পিচ কিউরেটর? দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলে দিতে পারছে পিচ-টা কেমন।’’

আহ্... সিঙ্গাপুর ভিসা

কী কাণ্ড কী কাণ্ড!

এটা টলিউডের একজন নায়িকার পক্ষেই সম্ভব। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ভ্যালেন্টাইনস ডে-র আগের রাত থেকে নায়িকা যাকে বলে সুপার-বিজি। মনও রয়েছে বেশ ফুরফুরে। কারণ তাঁর ছবি ‘মহানায়িকা’ সেদিন হাউসফুল হয়েছে নন্দনে।

এর মধ্যেই রাতে সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার কথা, কারণ স্বামী সঞ্জয়ের শরীর খারাপ। সব কাজ শেষ করে তিনি পৌঁছলেন এয়ারপোর্ট। চেক ইন কাউন্টারে তাঁর সিঙ্গাপুরের ভিসা দেখে অবাক এয়ারপোর্ট কর্মী। নাহ্, ব্যস্ততার মধ্যে তিনি দেখেননি যে মাসখানেক আগে তাঁর সিঙ্গাপুরের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তা হলে? তা হলে আর কী! ‘নো শো’ মানে পুরো টাকা জলে। মনের দুঃখে বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে দু’দিন পরে সিঙ্গাপুর উড়ে গেলেন নায়িকা।

সত্যি, এ শুধু ঋতুর পক্ষেই সম্ভব!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন