রজনীকান্ত স্যারকে ডিরেক্ট করতে চাই

নিয়ম মেনে ছবির প্রচার করলেও এ ব্যাপারে তাঁর অনীহা স্পষ্ট করে দিলেন। ‘‘ছবির প্রচারটাই সবচেয়ে কঠিন দেখছি। দক্ষিণে আমি দু’-তিনটে সাক্ষাৎকার দিই বড়জোর। মুম্বইয়ে ফিল্ম প্রোমোশন অনেক জোরদার।’’

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ১১:৩০
Share:

ধনুষ

দক্ষিণের যে ক’জন নায়ক সর্বভারতীয় দর্শকের কাছে বিশেষত হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন, ধনুষ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর ‘রাঞ্ঝনা’ হিট ছিল। ‘শমিতাভ’ না চললেও অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ধনুেষর অভিনয়ের টক্কর নিয়ে চর্চা হয়েছিল। কাজলের সঙ্গে তাঁর দ্বিভাষিক ছবি ‘ভিআইপি টু’-এর রিলিজ সামনে।

Advertisement

নিয়ম মেনে ছবির প্রচার করলেও এ ব্যাপারে তাঁর অনীহা স্পষ্ট করে দিলেন। ‘‘ছবির প্রচারটাই সবচেয়ে কঠিন দেখছি। দক্ষিণে আমি দু’-তিনটে সাক্ষাৎকার দিই বড়জোর। মুম্বইয়ে ফিল্ম প্রোমোশন অনেক জোরদার।’’

‘ভিআইপি টু’-এর গল্প-চিত্রনাট্য ধনুষের লেখা। জানালেন, প্রথম দিন থেকেই বসুন্ধরার চরিত্রের জন্য কাজলকে ভেবেছিলেন। কাজলের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘গুপ্ত’, ‘বাজিগর’ তাঁর পছন্দের ছবি।

Advertisement

এই ছবির পরিচালক ধনুষের স্ত্রী ঐশ্বর্যার বোন সৌন্দর্য। সেটে শ্যালিকার সঙ্গে তাঁর কেমিস্ট্রি কেমন ছিল? ‘‘সৌন্দর্যর ওপর আমার অগাধ আস্থা। আর পরিচালকদের ক্ষেত্রে মহিলা-পুরুষ আলাদা করে বিচার করি না কখনও,’’ বললেন তিনি।

দক্ষিণে ধনুষের সাফল্য নিয়ে কোনও সন্দেহ নিয়ে। কিন্তু হিন্দিতে তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘শমিতাভ’ ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হননি? কোনও রাখঢাক না করেই বললেন, ‘‘কিছু এসে যায়নি বললে মিথ্যে বলা হবে। খুব খারাপ লেগেছিল। ফিল্ম ফ্লপ হোক কেউই চায় না। তবে আমি ভীষণ গর্বিত অমিত স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে।’’

ধনুষ-ঐশ্বর্যার দুই ছেলে। কতটা সময় দিতে পারেন পরিবারকে? নিজের ব্যস্ততার কথা স্বীকার করে বললেন, ‘‘গত ৩-৪ মাসে খুব কম সময় দিতে পেরেছি। টেকনোলজিকে ধন্যবাদ, ওদের সঙ্গে রোজ ভিডিও চ্যাট করতাম। শহরে থাকলে যতটা পারি সময় কাটাই। সন্তানদের বড় হওয়ায় মা-বাবার সমান ভূমিকা থাকে। ওদের কিছুতে বাধা দিতে নেই। ওরা নিজেদের মতো ব়ড় হোক।’’

ধনুষ যত বড় তারকাই হন না কেন, এটা জানেন যে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের নাম রজনীকান্ত। ঘটনাচক্রে যিনি ধনুষের শ্বশুর। তিনি নিজেও এই কিংবদন্তির অন্ধ ভক্ত। রজনীকান্তের পরিশ্রম আর নিষ্ঠার উদাহরণ দিতে গিয়ে বললেন, ‘‘৩৫ বছর ধরে নিজের জায়গাটা ধরে রেখেছেন। এখনও একই রকমের কাজের খিদে। সকাল ৪.৩০-৫টা থেকে দিন শুরু হয়। ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করেন। আর পরিচালক প্যাক আপ না বলা পর্যন্ত উনি সেটে থাকেন।’’ ধনুষ নিজেও শ্বশুরের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জানালেন, সাফল্যের চুড়োয় পৌঁছেও নম্র আর বিনয়ী থাকার শিক্ষা তাঁর রজনীকান্তের থেকেই পাওয়া। ধনুষের স্বপ্ন রজনী স্যারকে ডিরেক্ট করার। প্রস্তুতি নিচ্ছেন? জবাবে স্রেফ হাসলেন তারকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন