Dharmendra Health Updates

দেওল পরিবারের সদস্যদের মুখে চওড়া হাসি, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ির পথে ধর্মেন্দ্র

৮৯ বছরের অভিনেতা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জিতে ফিরলেন। দেখিয়ে দিলেন, এ ভাবেও ফিরে আসা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১৩
Share:

সুস্থ হয়ে বাড়ির পথে ধর্মেন্দ্র। ফাইল চিত্র।

ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ৯০ হবে তাঁর। ধর্মেন্দ্র প্রমাণ করে দিলেন, বয়স সংখ্যামাত্র! সাত দিন ধরে হাসপাতালে যমে-মানুষে টানাটানির পর বর্ষীয়ান অভিনেতা বাড়ির পথে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিনেতার বাকি চিকিৎসা বাড়ি থেকেই হবে। পরে ধর্মেন্দ্রের দলের পক্ষ থেকে একই বিবৃতি দেওয়া হয়।

Advertisement

ধর্মেন্দ্র অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে বাড়ির পথে। অন্য একটি গাড়িতে ছেলে ববি দেওল। এমনই এক ঝলক বুধবার সকালে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা যায়, অনেকটাই সুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেতা। অবস্থা স্থিতিশীল। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করা সম্ভব এখন তাঁর। ফলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে ছাড়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। তবে দেওল পরিবার বা হেমা মালিনীর তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক সপ্তাহ আগে মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ছিল বয়সজনিত অন্যান্য অসুস্থতাও। সোমবার আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে। সে সময়ে এমনও বলা হয়, ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ধর্মেন্দ্রকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে আসতে থাকেন বলিউডের তাবড় তারকারা। ওই দিনই গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যান সলমন খান, শাহরুখ খান প্রমুখ। যদিও তখনও হেমা মালিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, ধর্মেন্দ্র স্থিতিশীল। নতুন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি।

Advertisement

রাত যত গভীর হয়েছে বেড়েছে ভুয়ো গুঞ্জন। প্রয়াত ধর্মেন্দ্র, এই খবরে সমাজমাধ্যম তোলপাড়। হেমা মালিনী, সানি দেওলের তরফ থেকে বার বার বার্তা দেওয়া হয়, সে রকম কিছুই ঘটেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে একের পর এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর।

তখনই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানান ঈশা দেওল। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাবা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। দয়া করে মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়াবেন না। বাবা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তার জন্য সকলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন।” ক্ষোভে ফেটে পড়েন হেমা মালিনীও। তিনিও বার্তায় লেখেন, “এ রকম অমানবিক আচরণ আশা করিনি। জীবিত একজনকে রাতারাতি মেরে ফেলা হল! ভাবতে পারছি না।” দেওল পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রক্ষার আবেদন জানানো হয়। তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের। অবাঞ্ছিত ব্যক্তি যাতে কোনও ভাবে ঢুকতে না পারেন, সে দিকেও কড়া নজর রাখা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement