Dharmendra

শেষ ছবি দেখতে পারলেন না, হৃদয়ে কোন কষ্ট নিয়ে চলে যেতে হল ধর্মেন্দ্রকে?

ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পরে হেমা মালিনীর সঙ্গে অভিনেতার প্রথম পক্ষের পরিবারের বিভেদ স্পষ্ট। ‘ইক্কিস’ ছবির পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন জানালেন, ধর্মেন্দ্রের হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা বেদনার কথা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৬
Share:

ধর্মেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত।

সোমবার মুম্বইয়ে ‘ইক্কিস’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজির হন ছবির কলাকুশলীরা। ছিলেন না কেবল একজনই— ধর্মেন্দ্র। অভিনেতার অনুপস্থিতি পূরণের চেষ্টা করেছেন তাঁর দুই পুত্র, সানি দেওল ও ববি দেওল। ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পরে হেমা মালিনীর সঙ্গে অভিনেতার প্রথম পক্ষের পরিবারের বিভেদ স্পষ্ট। ‘ইক্কিস’ ছবির পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন জানালেন ধর্মেন্দ্রের হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা বেদনার কথা।

Advertisement

ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর সঙ্গে বলিউডের একটা যুগের অবসান হল। বলিউডের ‘হি-ম্যান’ বলা হত তাঁকে। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চাকরি ছেড়ে লুধিয়ানা থেকে মুম্বই পাড়ি দেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করা খুব সহজ কথা নয়। অভিনয়ে সুযোগ না পেয়ে তিনি পঞ্জাব ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিলেন। এর পরে ‘পত্থর অউর ফুল’ ছবির মাধ্যমে সাফল্য আসে। সেই শুরু। এর পরে সাফল্যের গ্রাফ কেবল ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

এই গল্পটা অনেকেরই জানা। তবে বহু বছর আগে পঞ্জাব ছাড়ার কষ্টটা যেন থেকে গিয়েছিল তাঁর অন্তরে। এই ছবির পরিচালক শ্রীরাম বলেন, ‘‘ধরমজি কখনও সংলাপ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। তিনি সেটে আসতেন, পোশাক পরতেন, আর ঠিক যেন সেই চরিত্র হয়ে উঠতেন। এই ছবিতে যেহেতু পঞ্জাব-যোগ ছিল, তাই বিশেষ কিছু বলতেও হয়নি ওঁকে। পঞ্জাব ছেড়ে আসার বেদনা ভুলতে পারেননি কখনও। একইরকম ভাবে তাঁর বিশেষ ভালবাসার জায়গা ছিল কবিতা। সংলাপের মাঝে বেশ কিছু পঙ্‌ক্তি নিজেই ঢোকাতেন। আমি সেগুলো রেখে দিয়েছি ছবিতে।’’ শেষে শ্রীরাম জানান, শিল্পীর মধ্যে কখনও কোনও তাড়া দেখেননি পরিচালক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement