‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’ ছবির প্রিমিয়ারে অঞ্জন দত্ত, প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী, শঙ্কর চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বাইরে মেঘলা সন্ধ্যা। ঢাকা পড়ে গিয়েছে তারাদের ছটা। তাতে কী! এ দিন দক্ষিণ কলকাতার এক নামী প্রেক্ষাগৃহে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার প্রায় সমস্ত তারকা হাজির! সপরিবার অঞ্জন দত্ত, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, শঙ্কর চক্রবর্তী, অঞ্জনা বসু, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ বসু, রোশনি ভট্টাচার্য, সত্যম ভট্টাচার্য, আরেফিন শুভ, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা বসু— কে নেই সেখানে! উপলক্ষ পরিচালক পথিকৃৎ বসুর নতুন ছবি ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’-র প্রিমিয়ার। সেখানেই অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী বললেন, “বাকিদের মতো ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’ বলব না। আমার অভিজ্ঞতা বলে, ছবি ভাল হলে এমনিতেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাবে।” সাক্ষী আনন্দবাজার ডট কম।
রোশনি ভট্টাচার্য, স্নিগ্ধা বসু, অঞ্জনা বসু, সত্যম ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
এই ছবি দিয়ে পথিকৃতের সঙ্গে দ্বিতীয় বার কাজ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি আর মধুমিতা সরকার এ দিনের ছবিমুক্তি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত। মধুমিতাকে এই ছবিতে পরমব্রতের বিপরীতে দেখা যাবে। সেই ফাঁক অবশ্য কথার জালে ভরাট করে দিয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা। তাঁর রসিকতা, “বাংলা ছবিতে আমার আর বিশ্বনাথের জুটি নাকি হিট! দর্শক, টলিউড বলছে। পর পর দুটো ছবি মুক্তি পেল আমাদের।” তিনি এ-ও জানিয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে পর্দা ভাগ করার খুবই ইচ্ছে ছিল তাঁর। পথিকৃতের সঙ্গেও কাজ করা হয়ে ওঠেনি। দুটো ইচ্ছাই এই ছবি পূরণ করে দিয়েছে। সামনের সারিতে বসা ‘ভাদুড়িমশাই’ চিরঞ্জিতের মুখে মৃদু হাসি।
পায়েল সরকার, ইমন চক্রবর্তী, সোহেল দত্ত, তিয়াসা লেপচা। নিজস্ব চিত্র।
কালো, সাদা, লাল, নীল, হলুদ, ওয়াইন রং— তারকাদের পোশাকে রামধনু যেন তার সব রঙ উজাড় করে দিয়েছে। পর্দায় তাঁরা জুটি। মিঠুন-অঞ্জনার কম বয়স পর্দায় ফুটিয়েছেন। ভয় করছে? জানতে চাইতেই দু’জনে অকপট, “বেশ ভয় করছে। আশাও করছি, দর্শক ছবি দেখতে আসবেন। কারণ, গল্প ভাল, বাংলার তাবড় তারকারা রয়েছেন।”
এই ছবিতে প্রথম মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করলেন অঞ্জন। তাঁর কী প্রতিক্রিয়া?
বিশ্বনাথ বসু, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব ছবি।
অঞ্জনও আশাবাদী। জানিয়েছেন, ছবিতে শুটিং করার সময় থেকে মনে হয়েছে, দর্শকের ভাল লাগবে ছবিটি। কারণ, ছবিতে পারিবারিক গল্প রয়েছে। সপরিবার বসে দেখার মতো ছবি। তাঁর কথা লুফে নিয়েছেন পরিচালক। পথিকৃতের কথায়, “প্রিমিয়ারের আগেই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে উত্তর কলকাতার বিনোদিনী প্রেক্ষাগৃহে (সাবেক স্টার থিয়েটার)-এ। দর্শক ছবি দেখতে ভিড় করছে। শুনে ভরসা পাচ্ছি।”