কমল হাসনের পাশে রামগোপাল বর্মা? ছবি: সংগৃহীত।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সরব হয়েছিলেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। অভিনেতা-পরিচালক কমল হাসনকে সমর্থন করে এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) লিখেছিলেন, “গণতন্ত্রের নতুন নাম অসহিষ্ণুতা...! কমল হাসন ক্ষমা না চাইলে কর্নাটকে ‘ঠগ লাইফ’ নিষিদ্ধ করার হুমকি এক নতুন ধরণের গুন্ডামি।”
রামগোপাল বরাবর এই ধরনেরই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। ব্যতিক্রম, ইদানীং তিনি সেই ধরনের মতামত প্রকাশ্যে জানিয়েও মুছে দিচ্ছেন! প্রবীণ অভিনেতার আসন্ন ছবি কর্নাটকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিবাদ জানানোর পর এই টুইটটিও মুছেছেন পরিচালক। গত মাসে যেমন আসন্ন ‘ওয়্যার ২’ ছবিতে অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীর বিকিনি পরিহিত ছবি দেখে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন রামগোপাল। পরে সেটি মুছেও দিয়েছিলেন।
পরিচালকের এ হেন আচরণে বিস্মিত বিনোদন দুনিয়ার প্রশ্ন, রামু কি বৃদ্ধ হয়েছেন? তাই নিজেকে সংযত করার চেষ্টা?
ইদানীং বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীরা কোনও বিষয়ে কিছু বললে সেই বক্তব্য পছন্দ না হলেই তাঁদের কাজ নির্দিষ্ট রাজ্যে ‘নিষিদ্ধ’ করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাতে যেন কণ্ঠরোধ হচ্ছে গণতন্ত্রের, বাকস্বাধীনতার। কেউই আর মন খুলে কথা বলতে চান না। ভয়, যদি তাঁর রাখা বক্তব্য তাঁর দিকেই ব্যুমেরাং হয়ে ফেরে! ‘নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া’ বিষয়টি নিয়ে তাই খুশি নয় বিনোদন মহলও। রামুও মন্তব্যে সেই কথাই বলেছিলেন। তার পরেও মুছে দিলেন কেন? তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এ দিকে, কন্নড় ভাষা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কর্নাটকে কোণঠাসা কমল হাসন। ‘তামিল ভাষা কন্নড় ভাষার জনক’— এই কথা বলে বিপাকে তিনি। যার জেরে কর্নাটক ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স জানিয়েছে, অভিনেতা লিখিত ক্ষমা না চাইলে তারা সেখানে অভিনেতার ছবি চালাতে দেবে না। কমলও পাল্টা জানিয়েছেন, ক্ষমা চাওয়ার মতো কিছুই বলেননি তিনি। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। পাশাপাশি, সোমবার তিনি কর্নাটক হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে যাতে ‘ঠগ লাইফ’ নির্বিঘ্নে মুক্তি পায় তার আবেদন করেছেন।