প্রতীকী ছবি।
শুটিং সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে এত দিন খিটিমিটি লেগে থাকত টালিগঞ্জের কলাকুশলীদের সংগঠন তথা শাসক দলের অনুগামী ফেডারেশনের সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজকদের অনেকের। এ বার সেই পরিচালকদের একাংশের নতুন সংগঠন গড়ার পথে মদত দিতে খোদ ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-ই এগিয়ে এল। শনিবার বিকেলে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োয় পরিচালকদের নতুন সংগঠনটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ফেডারেশনের তরফে তাদের নিজেদের ছত্রচ্ছায়ায় আনার কথা ঘোষণা করা হল।
কিছু দিন আগেই টালিগঞ্জে টিভি সিরিয়ালের শুটিংয়ে বাধাবিপত্তি দূর করতে বিবদমান প্রযোজক-চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিল্পী-কলাকুশলীদের এক টেবিলে বসাতে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনও সেই মেলানোর মেজাজটাই মালুম হল। পুরনো সংগঠন, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক বিশ্বনাথনই নতুন সংগঠন, ‘ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র সভাপতি হলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সিনেমা, টিভি, ওয়েব সিরিজের পরিচালকদের মেলাবে নতুন সংগঠন।’’ কলাকুশলীদের ফেডারেশন-এর কর্তা তৃণমূল নেতা স্বরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের মন্ত্রী ও টেলি অ্যাকাডেমির কর্তা অরূপ বিশ্বাস, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, অভিনেতাদের সংগঠন আর্টিস্টস ফোরামের কর্তা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু হল অনুষ্ঠানটি। ফেডারেশনের তরফে অপর্ণা ঘটক এসে নতুন সংগঠনটির অনুমোদনের কথা বলেন। আর্টিস্টস ফোরামের অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘টিভি ধারাবাহিকের যুগে পরিচালকের ভূমিকা এখন প্রায় ফ্লোর ম্যানেজারের মতো। চ্যানেলগুলো আকছার পরিচালককে সরিয়ে দেয়। এটা অনভিপ্রেত।’’
এখনও পর্যন্ত ১১৪ জন পরিচালক নতুন সংগঠনের সদস্য। পুরনো সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বরুণ দেব বলেন, ‘‘ফেডারেশনের জুলুমে দল ভাঙানো হচ্ছে। এখনও আমাদের সদস্য বেশি।’’ নতুন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক, পরিচালক অনিন্দ্য সরকার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। গৌতম ঘোষ আসবেন বলেও আসেননি। পরে বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে যেতে পারিনি।’’