স্মৃতির সঙ্গে বিয়ে স্থগিত হওয়ার পর থেকে বিপাকে পলাশ। ছবি: সংগৃহীত।
একের পর এক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন পলাশ মুচ্ছল। প্রথমত, স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে বিয়ে স্থগিত হওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীত পরিচালক। এ বার সমাজমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল তাঁর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর।
স্মৃতির সঙ্গে বিয়ে স্থগিত হওয়ার পরের দিনই সমাজমাধ্যমে মেরি ডি’কোস্টা নামে এক মহিলার স্ক্রিনশট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। পলাশের সঙ্গে হওয়া কথোপকথন ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। যা দেখে প্রশ্ন ওঠে, স্মৃতিকে কি তা হলে পলাশ প্রতারণা করছিলেন? এ বার পলাশের নিজেরই পুরনো একটি টুইট সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল।
২০১০ সালে দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন অভিনীত ‘খেলে হম জি জান সে’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন পলাশ। এর পরে মহেশ ভট্টের ছবিতে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। পলাশ সেই পোস্টে লিখেছিলেন, “মহেশ ভট্ট স্যর, আমি একজন অভিনেতা। ‘খেলে হম জি জান সে’ আমার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।” এর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরও জুড়ে দিয়েছিলেন পলাশ। সেই নম্বর ছড়িয়ে পড়তেই বিপাকে পড়েছেন তিনি।
রবিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল স্মৃতি ও পলাশের। কিন্তু আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন স্মৃতির বাবা। বিয়ে স্থগিত রাখতে হয় তাঁদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পলাশ নিজেও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকেও। চার ঘণ্টা তিনি ছিলেন হাসপাতালে।
এই টানাপড়েনের মাঝেই হাসপাতালের চিকিৎসক পলাশের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে তথ্য দিলেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল পলাশের। বুকে চাপ অনুভব করছিলেন, এবং সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্ট। তাই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে সাঙ্গলীর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল পলাশকে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসক দীপেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেছেন, “হৃদ্যন্ত্রের কোনও বড় সমস্যা হয়নি। মানসিক চাপ থেকে এই অসুস্থতার সূত্রপাত। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজন হয়।” ক্রমশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও আগামী তিন সপ্তাহ পলাশকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।