চলচ্চিত্র উৎসবে আজ ঘরের ছেলেও

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যচিত্রের পোশাকি নাম ‘রোড সাইড সায়েন্টিস্ট’। দেশ-বিদেশের ছবি, তথ্যচিত্রের তালিকায় ‘ডকুমেন্টরি’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে তথ্যচিত্রটি। বার্তা রয়েছে পানীয় জলের অপচয় বন্ধের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘ঘরের ছেলে’কে নিয়ে তুফানগঞ্জের যুবকের তৈরি তথ্যচিত্র দেখানো হবে নয়াদিল্লিতে। আজ শনিবার দিল্লির স্প্যানিশ কালচারাল অডিটোরিয়ামে ওই তথ্যচিত্র দেখানো হবে। দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে প্রদর্শনের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যচিত্রের পোশাকি নাম ‘রোড সাইড সায়েন্টিস্ট’। দেশ-বিদেশের ছবি, তথ্যচিত্রের তালিকায় ‘ডকুমেন্টরি’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে তথ্যচিত্রটি। বার্তা রয়েছে পানীয় জলের অপচয় বন্ধের।

ওই তথ্যচিত্রের পরিচালক তুফানগঞ্জের আদি বাসিন্দা দিগন্ত দে। বেসরকারি সংস্থায় কাজের সূত্রে তিনি অবশ্য কলকাতায় থাকেন। সুযোগ হলে পরিবারের টানে ছুটে আসেন তুফানগঞ্জে। দিগন্তবাবু বলেন, “পিকইয়র ফ্লিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১৬ ডিসেম্বর তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে। ইউক্রেন, ইতালি, ইরান, থাইল্যান্ড, নরওয়ের মতো দেশ, বিদেশের ছবির সঙ্গে আমাদের ওই ছবি প্রদর্শন তালিকাতে রয়েছে।”

Advertisement

তথ্যচিত্রের নির্মাতারা জানান, গত এপ্রিলে তুফানগঞ্জে তথ্যচিত্রটির কাজ শুরু হয়। অগস্টে ১১ মিনিটের কাজ সম্পূর্ণ হয়। তুফানগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছবির শ্যুটিং হয়েছে। কলকাতার সহকর্মী, বন্ধু, স্থানীয়দের কয়েকজন সাহায্য করেন। কলকাতার নন্দনে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি দেখানো হয়। নভেম্বরে ইতালিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ব্রিটেনের কার্ডিফ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রশংসা পেয়েছে। এ বার দেশের রাজধানী শহরে স্বীকৃতি প্রাপ্তির লড়াই।

যার কাহিনি নিয়ে ওই তথ্যচিত্র তিনি তুফানগঞ্জের বাসিন্দা, পেশায় ছোট ব্যবসায়ী সুকমল বসাক। ২০০৯ সালে রাস্ট্রপতি পুরস্কার পান তিনি। ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনের উত্তরবঙ্গের স্কাউট বিভূতিভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “সাধারণ মানুষের আবিষ্কার, প্রতিভা তুলে ধরতে ফাউন্ডেশন স্বীকৃতি দেয়। সেই সুবাদে কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান তিনি।”

তাঁকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র দেশের রাজধানী শহরে প্রদর্শিত হবে জেনে খুশি সুকমলবাবু বলেন, “আমিও তথ্যচিত্রটি মুক্তির পরেই কলকাতায় নন্দনে দেখেছি। ভাল লেগেছে। পানীয় জলের অপচয় বার্তা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবে।” তিনি স্বয়ংক্রিয় জাগ তৈরি করেছিলেন। তাতে গ্লাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ভর্তি হলে বন্ধ হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন