এঁদো গলি। বৃষ্টির ক্যানভাসে কাদা পেরিয়ে পৌঁছনো তাঁদের দরজায়। সেখানে একটু একটু করে গড়ে উঠছে দুর্গা। সঙ্গে রয়েছে তাঁর পুরো পরিবারও। আর এই গড়ে তোলার মুহূর্তকেই ফ্রেমবন্দি করেছেন পরিচালক রণজিত্ রায়। তাঁর ৫২ মিনিটের ছবি ‘ডকুমেনটেশন অফ ক্লে ইমে়জ মেকার্স অফ কুমোরটুলি’তে প্রাণ পেয়েছে সেই সব শিল্পীর কথা, যাঁদের হাতের ছোঁয়ায় প্যান্ডেলে জেগে ওঠেন দেবী দুর্গা। ইন্দিরা গাঁধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টসের প্রযোজনায় ছবিটি তৈরি করে ইতিমধ্যেই ‘রজত কমল (সিলভার লোটাস)’ জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন পরিচালক।
প্রথমে ছবির বিষয় হিসেবে দুর্গামূর্তি তৈরির গোটা পদ্ধতিকে রাখবেন ভেবেছিলেন রণজিত্। কিন্তু পরে শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ছবির বিষয় হিসেবে উঠে আসে তাঁদের রোজনামচা, তাঁদের আর্থিক সমস্যার কথা। কিন্তু কুমোরটুলির শিল্পীদের নিয়ে তো আগেও কাজ হয়েছে। তা হলে ছবির বিষয় হিসেবে এত পরিচিত সাবজেক্ট বেছে নিলেন কেন? রণজিতের কথায়, ‘‘এর আগে যা কাজ হয়েছে তা সঠিক সার্ভের ওপর নির্ভর করে হয়নি। আর অনেক পুরনো তথ্যও তাতে রয়েছে। অনেকে হয়তো এটাও জানেন না দুর্গার চুল তৈরি যাঁরা করেন, তাঁরা অধিকাংশ মুসলিম। আমি ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমন অনেক অজানা তথ্য পেয়েছি যা রয়েছে এই ছবিতে।’’
দু’বছরের কিছু বেশি সময় ধরে ছবির শুটিং করেছেন তিনি। কেমন লাগছে জাতীয় পুরস্কার পেয়ে? রণজিত্ জানালেন, ‘‘পরিচালকদের কাছে জাতীয় পুরস্কার সব সময়ই সম্মানের।’’