ফ্রেমবন্দি দেবলীনা কুমার-মনোজ মুরলী নায়ার। ছবি: সংগৃহীত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাদম্বরী দেবী। দুই কিশোর-কিশোরীর ভাললাগা থেকে ভালবাসার পথে যাত্রা। প্রেম পূর্ণতা পাক বা না-পাক, প্রেমের ইতিহাসে অমর তাঁরা। রবিবার উত্তম মঞ্চে এঁদের জীবনের কিছু মুহূর্ত ‘রিক্রিয়েট’ করছেন রবীন্দ্রগানের শিল্পী মনোজ মুরলী নায়ার, অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী দেবলীনা কুমার। অনুষ্ঠানের নাম ‘যাহা বলিব মিথ্যা বলিব’।
অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করার আগে তাঁরা একাধিক বার মহড়া দিয়েছেন। তারই ঝলক ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কাদম্বরী বৌঠানের প্রতি রবীন্দ্রনাথ বরাবর মুগ্ধ। সেই মুগ্ধতা যে মনোজ-দেবলীনার চোখেমুখে স্পষ্ট! পুরোটাই কি অনুষ্ঠানের স্বার্থে? প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার ডট কম-এর।
মনোজ-দেবলীনা উভয়েই শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মনোজ যেমন গানের পাশাপাশি পাঠ করবেন, দেবলীনাও তাই-ই।
ব্যস্ততার ফাঁকেই দেবলীনার জবাব, “আমরা এর আগে তিন থেকে চার বার একসঙ্গে নৃত্যনাট্য করেছি। একবার একসঙ্গে বসন্ত উৎসবও পালন করেছি। এই ধরনের অনুষ্ঠান অবশ্য এই প্রথম।” তার পরেই সাফ জানিয়েছেন, পরস্পরের প্রতি মুগ্ধতা না থাকলে কী করে দু’জনের কাজের প্রশংসা করবেন তাঁরা? পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকলে একে অন্যের কাজে গর্ববোধ করাও সম্ভব নয়। সেই জায়গা থেকেই তাঁর দাবি, “এই মুগ্ধতাটা শুধুই ক্যামেরার সামনে নয়। ব্যক্তিগত জীবনেও ততটাই আছে। দর্শক-শ্রোতাও বিষয়টি বুঝতে পারেন বলেই আমাদের কাজ পছন্দ করেন।” তাঁর উপলব্ধি, এই মুগ্ধতা দু’তরফের মধ্যেই আছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মনোজের ১০টি গানের সঙ্গে রবীন্দ্রনৃত্য পরিবেশন করছেন দেবলীনা। সঙ্গে উভয়ের পাঠ। রবীন্দ্রনাথ-কাদম্বরীর অনুভূতি দর্শকদের সামনে ফুটিয়ে তুলতে তাঁরা বেছে নিয়েছেন প্রেমপর্যায়ের জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত। তালিকায় রয়েছে, ‘দিবস রজনী আমি যেন কার’, ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা’, ‘প্রেম এসেছিল নিঃশব্দ চরণে’।