Ankush Interview

জিতের অফিসে দীর্ঘ আলোচনা, দেবের সঙ্গে ফোনে পরামর্শ, সব দিক সামলে এগোচ্ছেন প্রযোজক অঙ্কুশ

জিৎ, দেব, সোহমের পর এ বার অঙ্কুশ। ছবি প্রযোজনার কাজে নামলেন অঙ্কুশ। প্রকাশ্যে এল তাঁর প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘মির্জা’র টিজার। নিজের এই নতুন যাত্রা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় অঙ্কুশ।

Advertisement

উৎসা হাজরা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৫৪
Share:

প্রযোজক অঙ্কুশকে দর্শক ঠিক কত নম্বর দেন, এখন তা-ই দেখার। ফাইল চিত্র।

বাইপাসের ধারের দামি রেস্তরাঁ। চারিদিক আলোয় আলোকিত। এক গাল দাড়ি, পরনে কালো শার্ট, দুলকি চালে হেঁটে মঞ্চে আগমন অঙ্কুশ হাজরার। প্রথম সারিতে বসে তখন হাততালি দিচ্ছেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেন, সঙ্গে তাঁর গোটা পরিবার। প্রকাশ্যে এল অঙ্কুশ প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘মির্জা’র প্রথম ঝলক। অনু্ষ্ঠান শেষে সদ্য প্রযোজকের জুতোয় পা গলানো নায়কের সঙ্গে আড্ডা জমল আনন্দবাজার অনলাইনের।

Advertisement

প্রশ্ন: প্রথম প্রযোজিত ছবির পরিচালনার দায়িত্বে কলকাতার কোনও পরিচালককে বাছলেন না কেন?

অঙ্কুশ: সুমিত-শাহিল দু’জনেই ভাল লেখক। বাবা যাদবের আগামী ছবি ‘পাখি’র গল্পও ওর লেখা। আর সুমিতের স্ত্রী বাঙালি। ও বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বাংলা বলতে পারে না, কিন্তু বাঙালির আবেগ বোঝে। যখন এই গল্পটা লেখে, তখনই আমার দারুণ লেগেছিল। ওদের ছবি পরিচালনার স্বপ্নও অনেক দিনের। এ ছাড়াও আগে গুজরাটি ছবি পরিচালনা করেছে। তা ছাড়া আমাদের কলকাতার পরিচালকরাও তো এখন বাইরে কাজ করতে যাচ্ছে। দক্ষিণী পরিচালকরা মুম্বইয়ে কাজ করছে। এই ভেদাভেদটা এ বার বন্ধ করা উচিত।

Advertisement

প্রশ্ন: কেন মনে হল প্রযোজক হওয়া দরকার?

অঙ্কুশ: আমি নিজের মতো করে কিছু করতে চাইছিলাম। যা নিজে প্রযোজক হলে তবেই করা যায়। কে কেমন চিত্রনাট্য দেবে, তার উপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। তাতে নিজের স্বাধীনতা কোথাও গিয়ে খর্ব হয়। একটা সময় পর যখন সেটা বুঝতে শিখলাম তখন মনে হল এ বার নিজের কিছু করার দরকার।

প্রযোজক অঙ্কুশকে কী টিপস দিলেন জিৎ, দেব?

প্রশ্ন: মানে কাজের স্বাধীনতা পাচ্ছিলেন না?

অঙ্কুশ: না তেমনটা নয়। একটা সময় পর যখন কাজটা আরও বুঝতে শিখি, আরও একটু পরিণত হই। তখন নিজের মনের মতো কাজ করার জন্য প্রযোজনা করা উচিত বলে আামার মনে হয়।

প্রশ্ন: এই মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ছোট ছোট সংস্থা ছবি তৈরি করছে। কাকে আপনার প্রতিযোগী বলে মনে হচ্ছে?

অঙ্কুশ: সুস্থ প্রতিযোগিতা সব সময় ভাল। আমি বিষয়টা সেই ভাবেই দেখি না। যত ছবি তৈরি হবে, দর্শককে যত হলমুখী করতে পারব, আমাদের উন্নতি হবে। সুতরাং এখানে হিংসার কোনও জায়গা নেই।

প্রশ্ন: ‘মির্জা’ ছবির লুকের সঙ্গে একটা দক্ষিণী ছোঁয়া আছে। এটা কি মৌলিক গল্প না অন্য ছবির দ্বারা অনুপ্রাণিত?

অঙ্কুশ: না না, এটা মৌলিক গল্প। তবে সব সময় এমন ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবিই আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম।

প্রশ্ন: প্রসেনজিৎ, জিৎ, দেব— সবাই প্রযোজক। পরামর্শ নিয়েছেন?

অঙ্কুশ: হ্যাঁ, অবশ্যই। দেবের সঙ্গে তো সারা ক্ষণ মেসেজে কথা হচ্ছে। ছবি তৈরি থেকে মুক্তি পর্যন্ত ঠিক কী কী ভাবে প্রতিটা পদক্ষেপ নিতে হবে, পুরোটাই আলোচনা করছি মাঝে মাঝেই। আর জিৎদার অফিসে তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেছি, কী ভাবে এগোব এই সব নিয়ে। জিৎদা তো প্রতিটা মুহূর্তে বলে যাচ্ছে কখন কোনটা করব, না করব। আমাকে বলেছে ‘ওয়েলকাম টু দ্য গ্যাং’।

প্রশ্ন: ঐন্দ্রিলা বলছেন, ওকে ছবিতে নেওয়ার নাকি বাজেট নেই আপনার?

অঙ্কুশ: তাই! ও এমন বলছে! তা হলে বিনামূল্যে করে দিক! তবে এই ছবিতে নায়িকার চরিত্রটা যে ভাবে লেখা হয়েছে, তাতে অনেক খুঁজে তবেই চূড়ান্ত করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন