‘এই ছবির জন্য রক্ত দিয়েছি’

এ বারের ইদে বাংলা ‘সুলতান’। তার আগে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে ছবির অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন জিৎএ বারের ইদে বাংলা ‘সুলতান’। তার আগে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে ছবির অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন জিৎ

Advertisement

ঊর্মি নাথ

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ০০:১৩
Share:

জিৎ

প্র: আপনার ভিলেনের লুকটা দেখে মেয়ে ভয় পায়নি? আগে তো বাবাকে এমন চেহারায় দেখেনি সে।

Advertisement

উ: না, ভয় পায়নি। তবে শুধু আমার মেয়ে নয়, বাড়ির অন্যান্য বাচ্চারা এখন আমাকে গুন্ডা বলে ডাকছে (হাসি)।

প্র: ‘সুলতান: দ্য সেভিয়র’-এ দ্বৈত চরিত্র করছেন না। এটা আনন্দ প্লাসকে আগেই বলেছেন। তা হলে আপনি কি এখানে এক জন স্কিৎজ়োফ্রেনিক?

Advertisement

উ: চরিত্রটায় অনেক স্তর আছে। একটা জিৎ ভাল। রাজা দত্ত নাম তার। ট্যাক্সি ড্রাইভার। আর একটা জিৎ পুরোদস্তুর মাতাল। টাকা ছাড়া সে কিছু বোঝে না। এই দুটো চরিত্রের মধ্যে একটা যোগসূত্র আছে। সেটাই তো ছবির গল্পের রহস্য ।

প্র: প্রিয়ঙ্কা ও মিম— এই ছবিতে এক জন আপনার বোন, অন্য জন প্রেমিকা। দুই নায়িকাকে কত নম্বর দেবেন?

উ: দু’জনেই ভাল অভিনেত্রী। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে এর আগে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’-এ কাজ করেছি। বেশ শক্তিশালী অভিনেত্রী। ‘সুলতান’ -এ ওর চরিত্রটা পড়েই মনে হয়েছিল এটা প্রিয়ঙ্কা পারবে। মিমের সঙ্গে এটা আমার প্রথম ছবি। ও যথেষ্ট ভাল অভিনেত্রী। বাংলাদেশে তো বেশ জনপ্রিয়। মিম এক কথায় মিষ্টি মেয়ে। এই প্রসঙ্গে পরিচালক রাজা চন্দর কথা বলব। ‘বচ্চন’, ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ আর এটা নিয়ে ওর সঙ্গে আমার তিন নম্বর ছবি হল। ‘সুলতান’-এ রাজার সঙ্গে কাজ করে বুঝতে পারছি ও আরও পরিণত হয়েছে। অবশ্যই উল্লেখ করব শুভাশিসদার (মুখোপাধ্যায়) কথা। তিনি এমন একটি চরিত্রে কাজ করেছেন যেটা আগে কখনওই করেননি, না সিনেমায়, না নাটকে। আমরা গোটা ইউনিট চেষ্টা করেছি একটা ভাল ছবি তৈরি করার।

প্র: কিন্তু এত চেষ্টা সব রিমেক ছবির জন্য! কবে মৌলিক চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করবেন?

উ: করব... করব। এই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তার পর বলব আপনাদের।

প্র: ‘বচ্চন’-এ ‘টাটকা প্রিয়া মারি’র পর ‘সুলতান’-এ আবার প্লে-ব্যাক করলেন...

উ: ‘সুলতান’-এ সঙ্গীত পরিচালনা করেছে দু’জন। শুদ্ধ ও স্যাভি। আর শুদ্ধ নাছোড়বান্দা। আমাকে দিয়ে প্লে-ব্যাক করাবেই। ‘টাটকা প্রিয়া মারি’ হিট হয়েছিল। তাই রাজি হতেই হল।

প্র: আপনার বাবা নাকি আপনার সবচেয়ে বড় সমালোচক?

উ: (হাসি) বাবা বলেন, আমি অ্যাকশনে দুর্বল, নাচে দুর্বল! দৃশ্য খুঁটিয়ে দেখেন, আমাকে ডেকে বলেন, এই জায়গাটা আরও ঠিক করতে হতো, ওই জায়গাটা আরও ভাল হতে পারত। তবে সমালোচক শুধু আমার বাবা নন, বড় সমালোচক আমার মা ও স্ত্রী। ওরা ভুলটা দেখিয়ে দেয়। অফিসেও কেউ ছাড়ে না। আমি নিজেই নিজের বড় সমালোচক। ভাল হোক বা খারাপ, আমি সব কিছুই এনজয় করি।

প্র: ছবি মুখ থুবড়ে পড়লেও এনজয় করেন?

উ: সে ক্ষেত্রে ভুলগুলো দেখে শিখে নিই। চেষ্টা করি পরের ছবিতে সেটা যাতে না হয়।

ছবির দৃশ্য

প্র: ‘বস টু’-এ অ্যাকশন দৃশ্য করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। এ বার?

উ: এ বারও (হেসে)। একটি দৃশ্য করতে গিয়ে পড়ে যাই। পড়ে যেতেই হেয়ার ড্রেসার এসে বলে, ‘দাদা লগা আপকো?’ উত্তরে বলি, ‘বহুত জোড় সে লগা।’ থুতনি কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড! তার পর সাতটা সেলাই ও সাত দিন ঘরবন্দি হয়ে থাকা। বলতে পারব, এই ছবির জন্য আমি রক্ত দিয়েছি।

প্র: ছোট পর্দায় আবার আপনাকে কবে দেখা যাবে?

উ: ছোট পর্দায় প্রযোজনা নিয়ে আমরা ভাবছি। হয়তো করবও। বাংলা ‘বিগ বস’ তো এখন হচ্ছে না। সে রকম ভাল প্রস্তাব পেলে করব। এটা ঠিক যে, ছোট পর্দার মাধ্যমে মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছনো যায়। যেমন, ‘বিগ বস’ করার সময় এমন অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, যাঁরা আমাকে বড় পর্দায় কখনও দেখেননি। স্রেফ আমার সঞ্চালনা দেখে আমার ভক্ত হয়ে গিয়েছেন।

প্র: আপনি কিন্তু এখনও হেঁয়ালির উত্তর দিলেন না।

উ: (একটু অবাক হয়ে) কোন হেঁয়ালি?

প্র: ‘সুলতান: দ্য সেভিয়র’-এ আপনি ঠিক কী?

উ: (অট্টহাসি) খুব ভাল লাগছে আপনি হেঁয়ালির উত্তর খুঁজছেন। তার মানে এটা ইন্টারেস্ট তৈরি করেছে। ভাল... ভাল...আমার জন্য দারুণ ভাল। হেঁয়ালির উত্তর পেয়ে যাবেন আগামী শুক্রবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন