Celebrity Interview

চলচ্চিত্র উৎসবে বিদেশি দর্শকের পছন্দ হয়েছে মানেই ছবি সফল, বিশ্বাস করি না: আদিত্য বিক্রম

নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কেউ ভাবতে নারাজ। শুভাপ্রসন্নের জামাই হওয়ার সুবাদে সেই সময় বাড়তি সুবিধে পেয়েছেন কি কখনও? ব্যক্তিগত জীবন থেকে কর্মজীবন নিয়ে অকপট পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত।

Advertisement

সম্পিতা দাস

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪০
Share:

‘মায়ানগর’ থেকে ফেডারেশন তর্জা, আড্ডায় আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁর ছবিতে অনুপস্থিত ইনস্টাগ্রামের দুনিয়া। থাকে না প্লটের মোচড়। তিনি পছন্দ করেন না গ্ল্যামারের অতিশয্য। ছবি বানান গল্প বলার তাগিদে। সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা কোনও কিছু নিয়েই তেমন বাড়তি উৎসাহও যে রয়েছে, তা নয়। যদিও শহুরে শিক্ষিত বাঙালি দর্শক মহলে তাঁর ছবি প্রশংসিত ও চর্চিত। এখনও পর্যন্ত দু’টি ছবি বানিয়েছেন। তৃতীয় ছবি ‘ওয়ান্‌স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা’ ওরফে ‘মায়ানগর’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এ ছবি তৈরির সময় বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ফেডারশনের বাধার সম্মুখীনও হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ছবিটি বানাতে পেরেছেন পরিচালক। আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত।

Advertisement

প্রশ্ন: আপনার ছবিতে সব সময় কলকাতা যাপনের ছাপ থাকে, আপনার উপর শহরের কতটা প্রভাব রয়েছে?

আদিত্য: এই শহরে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা। কিন্তু ২০০৮ থেকে শহরটা দ্রুত বদলাতে শুরু করে। আইটি সেক্টর, নিউ টাউন, রাজনৈতিক পালাবদল অনেক কিছু ঘটেছে। পৃথিবীটা ছোট হতে হতে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মানুষের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা সব কিছুকেই সহজে ছোঁয়া যাচ্ছে। আর আমি ছবি বানাই আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায়। আর এই ১৫ বছরে যে ভাবে শহরটার পরিবর্তন ঘটেছে, মানুষ বদলে গিয়েছে সেটাই ‘মায়ানগর’-এর গল্প।

Advertisement

প্রশ্ন: পুঁজিবাদি সমাজই এখন আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে, অথচ, আপনি সেই চাকচিক্যের বাইরে গল্প বলেন, কেন?

আদিত্য: আমি জীবনকে যে ভাবে দেখি তারই স্বতঃস্ফূর্ত চিত্রায়ন আমার গল্পে। আমার তো মনে হয় ফোন, বিশেষত মোবাইল ফোন আসার পর থেকে এক জন অন্য জনের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময় মানুষের অপেক্ষা করার ধরনটাই পাল্টে গিয়েছে। এখন পুরোটাই প্রযুক্তি দ্বারা চালিত আমরা। সেটা খুব শুভ লক্ষণ নয়।

প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে কলকাতায় ফেডারেশনের নিয়ম প্রায় না মেনেই তৈরি হয়েছে আপনার ছবি ‘মায়ানগর’, এটা সম্ভব হল কী ভাবে?

আদিত্য: প্রথমত, ‘ফেডারশনের নিয়ম’— এটা ঠিক কী! আমি জানি না। ফেডারেশন কোনও আইনসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান নয়। এটা একটা সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন। পাড়ায় পাড়ায় যে রকম ক্লাব হয়, তেমনই। আমার ছবি অনুদানের টাকায় বানানো। আর গোটা দলটাই মুম্বই থেকে আনানো। তাই এখান থেকে কাউকে কাজে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি আমার। যদিও দু’-এক জনকে নিতাম, সেটা ওরা করতে দিত না। আর শুটিং বন্ধ করার অধিকার কারও নেই। আমার কাছে যদি পুলিশ থেকে কলকাতা পুরসভা— সকলের ছাড়পত্র থাকে, তা হলে আর কেউ কোনও ভাবে শুটিং বন্ধ করতে পারে না। আর কারও সেই আইনি অধিকার নেই।

প্রশ্ন: কিন্তু এই মুহূর্তে কলকাতায় ফেডারশনের নিয়মের কড়াকড়িতে শুটিং বন্ধের আশঙ্কা জমা হচ্ছে...

আদিত্য: না, শুটিং তো বন্ধ করতে পারবে না। ওঁরা শুধু নিজেদের লোকদের বার করে নিচ্ছেন।

প্রশ্ন: আপনি যে হেতু মুম্বই থেকে লোক নিয়ে এসেছিলেন, সে জন্যই কি কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি?

আদিত্য: না না, সমস্যায় আমাকেও পড়তে হয়েছে। আসলে আমি ক্যামেরা এখান থেকে ভাড়া নিয়েছিলাম। এটা তো ‘ভেন্ডার’ মারফত হয়। তবুও সে খবর চলে যায় ফেডারশনের কাছে। তখন আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ক্যামেরা দেওয়া যাবে না। তার পর আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তখন একটা মধ্যস্থতা হয়েছিল যে, তাঁদের থেকে কিছু লোক নিয়ে কাজ করব। কিন্তু তার পর আরও বেশি সংখ্যক লোক নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার পর ক্যামেরাও আমি মুম্বই থেকে আনিয়ে নিয়েছিলাম।

প্রশ্ন: একটা সিনেমা করতে গিয়ে এত রকমের প্রতিবন্ধকতা, ইন্ডাস্ট্রির কি দুর্দিন আসছে বলে মনে করেন?

আদিত্য: বিষয়টা খানিক এমন, ধরুন একটা কেউ উড়ালপুল বানাচ্ছে। কিন্তু, নিম্নমানের কাঁচামাল কোনও স্থানীয় সিন্ডিকেট থেকেই নিতে হবে। বিষয়টা এই চাপ দেওয়ার। আমি আমার সিনেমায় কী করব, কী ভাবে করব— সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আমার থাকা উচিত। এবং আমি কাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করব সেটাও তো আমারই সিদ্ধান্তই হওয়া উচিত। চাপিয়ে দেওয়া হবে কেন? এই যে জোরাজুরি করা, এত জন লোক নিতেই হবে এটা আমার অযৌক্তিক মনে হয়।

প্রশ্ন: এর মধ্যে কি রাজনীতি দেখছেন?

আদিত্য: রাজনীতির কথা আমি বলতে পারব না। তবে এটা নিশ্চিত যে, এই চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়টাতে সকলেরই আপত্তি রয়েছে, আর সেই কারণেই এত ঝামেলা হচ্ছে। কিছু দিন আগে পরমব্রত থেকে সৃজিৎদা সকলেই যথেষ্ট খোলামেলা ভাবে এই বিষয়ে নিজেদের মত রেখেছেন।

প্রশ্ন: কলকাতায় ঠিক কতটা নির্বিঘ্নে কাজ করা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে?

আদিত্য: এই সবের এতটা চাপ না থাকলেই নির্বিঘ্নে কাজ করা সম্ভব।

প্রশ্ন: চলচ্চিত্র জগতে যাঁরা তুলনায় নতুন, তাঁদের পক্ষে কি আদৌ শিল্পসত্তা নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব?

আদিত্য: (খানিক থেমে) পুরনো লোকেরাই কাজ করতে পারছেন না, আর নতুনেরা! কৌশিকদার ছবির কাজ বন্ধ হয়ে গেল।

প্রশ্ন: তবে কি নতুনদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই?

আদিত্য: এর উত্তর আমার কাছেও নেই।

প্রশ্ন: আপনি নতুন নন, এত দিনে একটা পরিচিতি হয়েছে, আপনার পক্ষেও এখানে কাজ করা কতটা সহজ?

আদিত্য: সোজা তো একেবারেই নয়। প্রথম ছবিটা দশ জন মিলে বানিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ছবির বেশির ভাগটা কার্শিয়াঙে শুট করেছিলাম। আর ‘মায়ানাগর’-এর ক্ষেত্রে পুরোপুরি মুম্বইয়ের দল নিয়ে।

প্রশ্ন: ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ ও ‘জোনাকি’র তুলনায় ‘মায়ানগর’ ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হয়েছিল?

আদিত্য: প্রথম ছবির কাহিনি একটা ছোট গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছিলাম। তার পর সেটা আমার ছোটবেলা। আমার কলকাতার স্মৃতি, মা-বাবা— এ সব নিয়ে হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ছবিটা আমার দিদাকে নিয়ে। এই ছবিটা পুরোপুরি কলকাতার গল্প। কলকাতার মানুষের গল্প। প্রতিটি চরিত্র আমার দেখা, সত্যিকারের জীবন থেকে নেওয়া। ভীষণ বাস্তবধর্মী গল্প একটা। এ বারের এই গল্পে দর্শকেরা নিজেদের কোথাও না কোথাও খুঁজে পাবে। এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যে অভিনয় করছেন, মনেই হবে না। এমন ‘হাইপার রিয়্যালিস্ট’ অভিনয় বাংলা ছবিতে আগে কেউ দেখেইনি।

প্রশ্ন: ‘মায়ানগর’-এ শ্রীলেখা মিত্রের অভিনয় কতটা আপনার মনের মতো হয়েছে?

আদিত্য: আমরা এই ছবির জন্য দীর্ঘ দিন ওয়ার্কশপ করি। তখনই আবিষ্কার করলাম অভিনেত্রী হিসেবে উনি খুব শক্তিশালী। শ্রীলেখাদি অভিনেত্রী হিসেবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। নিজের শৈলীর উপর ভীষণ রকমের দখল রয়েছে। ওঁকে নিয়ে একটা ধারণা আমার ছিল, কিন্তু এতটা যে ভাল হবে কল্পনা করিনি। এই চরিত্রটাতে এত ধরনের স্তর রয়েছে এবং যে ভাবে কাজটা করা হয়েছে, এক মুহূর্তের জন্য মনেই হবে না যে অভিনয় করছে।

প্রশ্ন: এত ভাল অভিনেত্রী, কিন্তু টলিউডে তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না...

আদিত্য: হ্যাঁ, এখানে খুবই কম সুযোগ পান। কেন? সেটা আমি খুব একটা জানি না। কিন্তু যত ক্ষণ আমাদের সেটে ছিলেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এক একটা টেক ৪০ বার করে নিয়েছি। প্রতিটা টেকেই ১০০ শতাংশ দিতেন। কখনও বিরক্তি প্রকাশ করেননি। এমনও হয়েছে ৪০ টা টেকই ফেলে দিয়েছি, পরের দিন নতুন করে শুট হয়েছে। তাতেও একটা প্রশ্ন করেননি। পুরোপুরি পরিচালকের কথা শুনে চলা অভিনেত্রী।

প্রশ্ন: ব্রাত্য বসুর ক্ষেত্রেও কি ৪০ বার টেক নিয়েছেন?

আদিত্য: না। ব্রাত্যদার সঙ্গে অতটা সময় লাগেনি। কারণ অল্প দিনের কাজ ছিল। আর চরিত্রটাকে এমন ভাবে আত্মস্থ করে নিয়েছিলেন যে খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় কাজটা। ৬ থেকে ৭ টা টেক, ব্যস। ব্রাত্যদার এখন পর্যন্ত করা শ্রেষ্ঠ কাজ আমার মতে।

প্রশ্ন: ২০১৫ ‘আসা যাওয়ার মাঝে’, ২০১৮ তে ‘জোনাকি’, ২০২৫ ‘মায়ানগর’। এতটা সময় নিলেন, ছবিনির্মাণের নেপথ্যে কোনও বিশেষ কারণ?

আদিত্য: আসলে আমার এই ছবিটা ২০১৯-এ শুটিং হয়ে গিয়েছিল। মাঝে দু’টি বছর কোভিডে কেটে গেল। প্রযোজক চলে গেলেন। এখন নতুন করে স্বত্ব ব্যবস্থা করে অবশেষে ছবিটা মুক্তি পাচ্ছে।

প্রশ্ন: প্রযোজক পাওয়া নিয়ে কখনও সমস্যা হয়েছে?

আদিত্য: হ্যাঁ, প্রযোজক পেতে অসুবিধে হয়েছে। বাণিজ্যিক ধাঁচে ফেলা ছবি তো নয়! অনুদানের টাকায় বানানো ছবি। এখন অবশ্য মূলধারার ছবি তৈরির চেষ্টা করছি। মুম্বইয়ে হিন্দি ছবি তৈরির প্রচেষ্টা চলছে।

প্রশ্ন: একটা সময় অনেকে বলতেন শুভাপ্রসন্নের জামাই হওয়ার সুবাদে টাকা নিয়ে নাকি ভাবতে হয়নি আপনাকে?

আদিত্য: প্রথম ছবিটা আমি নিজের টাকায় করেছি। দ্বিতীয় ছবিটার প্রযোজক ছিলেন পুডুচেরির মানুষ, অন্য জন ফরাসি প্রযোজক। এই ছবির জন্য ফ্রান্স ও নরওয়ে থেকে অনুদান পেয়েছি। ওঁর জন্য যে সুবিধে হত, সেগুলি অন্য রকম— ধরা যাক, থানার অনুমতিপত্র লাগবে। চটজলদি ব্যবস্থা হয়ে যেত।

প্রশ্ন: আপনার প্রাক্তন স্ত্রী জোনাকি ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজের একটা আদানপ্রদান ছিল সেটা কী এখনও একই রকম রয়েছে?

আদিত্য: না, জোনাকির সঙ্গে আর কাজ করি না। সেটা হলে বিষয়গুলো জটিল হয়ে যায়। তবে আমার আগের ছবিগুলোতে ওঁর অবদান অনেক। ব্যক্তিগত স্তরে একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছে যখন জটিলতা বাড়িয়ে লাভ নেই।

প্রশ্ন: বিচ্ছেদের পর কি বন্ধু হয়ে থাকা সম্ভব?

আদিত্য: সেটা নির্ভর করে সম্পর্কের সমীকরণের উপর। প্রতিটা যুগলের ক্ষেত্রে সেটা আলাদা।

প্রশ্ন: প্রথম ছবি থেকেই দর্শকের প্রশংসা পেয়েছেন, নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়?

আদিত্য: আমি নিজেকে এমনিই সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। ছবি বানাই কিংবা না বানাই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান থাকলেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করা উচিত।

প্রশ্ন: পরিচালক আদিত্য বিক্রম কি আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন, সে কারণে ইন্ডাস্ট্রিতেও খুব বেশি বন্ধু নেই?

আদিত্য: আমি তো কাজের জন্য মুম্বইয়ে থাকি। আর ইন্ডাস্ট্রিতে মেশার তেমন জায়গা নেই। তবে, এখানকার প্রযোজক যদি আমার আগামী পাঁচটা ছবি করতে রাজি হন, তা হলে মেলামেশার জায়গা হবে।

প্রশ্ন: বিজ্ঞাপন জগতে আপনার পায়ের তলার মাটি শক্ত। তা হলে কি সিনেমা করতে গেলে বিকল্প পেশার প্রয়োজন?

আদিত্য: অনেকে পরিচালক মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি করেন, তাঁদের অনেক ছবি বানাতে হয়। আমি অত ছবি করতে পারি না। আর আমার ছবি বানানোর ইচ্ছেটা খুব নির্বাচিত।

প্রশ্ন: সম্প্রতি কোনও বাংলা ছবি দেখে ভাল লেগেছে?

আদিত্য: খুব একটা বাংলা ছবি দেখা হয় না, টুকটাক দেখি। সম্প্রতি ‘খাদান’ দেখলাম, ছবিটা ভাল লেগেছে। খুব সৎ একটা ছবি। ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ দেখার ইচ্ছে রয়েছে।

প্রশ্ন: বর্তমানে বংলার ছবির অবস্থা কেমন মনে হয়?

আদিত্য: বাংলা গোয়েন্দা ছবি ও রহস্য-রোমাঞ্চ একঘেয়ে লাগে। তবে লোকে দেখে বলেই তো এগুলো চলে।

প্রশ্ন: নিজেকে তারকা মনে হয়?

আদিত্য: দেখুন, আমি ছবি না বানালে পৃথিবী থেমে থাকবে না। আমাকে বিশেষ দরকার কারও নেই, আমার পোষ্যের আমাকে প্রয়োজন আছে। কিন্তু, আমি না থাকলে এই পৃথিবীর খুব বেশি হেরফের হবে না। ফলে নিজেকে তারকা কেন মনে করব?

প্রশ্ন: চলচ্চিত্র উৎসবের প্রশংসা না কি বক্স অফিসে সাফল্য— কোনটাকে আপনি এগিয়ে রাখবেন?

আদিত্য: বক্স অফিস সাফল্য নির্ভর করছে কত মানুষ ছবিটা দেখছেন ও ভালবাসছেন তার উপর। ফেস্টিভ্যালের নিজস্ব জায়গা রয়েছে। কিন্তু বিদেশি দর্শকের ভাল লেগেছে মানেই সেই ছবি বিরাট সফল বিশ্বাস করি না। একটা ছবি সফল তখনই হয় যখন সকলে ছবিটা দেখবে।

প্রশ্ন: কখনও বক্স অফিসের সংগ্রহ নিয়ে ভাবতে হয় আপনাকে?

আদিত্য: যে ভাবে আমার ছবির টাকা পেয়েছি তার সবটাই অনুদানের টাকা, ফেরত দেওয়ার দায় ছিল না। তাই ওই চাপটা নিতে হয়নি। কিন্তু আমার পরবর্তী হিন্দি কাজের প্রযোজক মুম্বইয়ের, সেখানে অবশ্যই একটা হিসেব থাকবেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement