ভারতী
প্র: কেমন আছেন?
উ: লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। সার্জারি হয়ে গিয়েছে। কাজও শুরু করে দিয়েছি।
প্র: বিশ্রাম নেননি?
উ: না, সময় পাইনি। তবে শোয়ের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিয়ে নিই। তিন দিন শুটের পরে এক দিন মাঝে বিশ্রাম নিতে পেরেছি।
প্র: এত বছর ধরে ‘ইন্ডিয়াজ় গট ট্যালেন্ট’ হোস্ট করছেন। প্রতি বছর নতুন প্রতিভা আসে এই মঞ্চে। আপনার কাছে নতুন কী?
উ: এত দিন এই শো করছি, নতুন আর কী থাকবে! তবে প্রতি বছরই একটা উত্তেজনা কাজ করে। যেমন প্রত্যেক বছরই সেই একই দিনে জন্মদিন হয়। কিন্তু প্রতি বছরই মানুষ এক্সাইটেড থাকে। তেমনই আর কী! তবে কেউ অডিশন দিতে এলে আমি তার অনুভূতিটা বুঝতে পারি। আমিও তো এক সময়ে অডিশন দিয়েছি। প্রতিযোগীদের টেনশন কমানোর চেষ্টা করি।
প্র: শোয়ে সবচেয়ে বেশি কী উপভোগ করেন?
উ: এটা আমার পরিবার। কিরণ খের আমার মায়ের মতো, কর্ণ জোহর আমার দাদা। আর মালাইকা (অরোরা খান) হল ননদ টাইপ! শোয়ের মাঝে ব্যাকস্টেজে নানা রকম খুনসুটি চলতেই থাকে।
প্র: সম্প্রতি আপনার ইনস্টাগ্রামে একটা স্টোরি দেখলাম...
উ: হা হা হা। ওই কলেজে হয় না— নতুন স্টুডেন্ট এলে সিনিয়ররা যেমন ক্লাস নেয়, সেই সিনই চলছিল আর কী। ওই ছেলেমেয়েগুলো নতুন এসেছে। তাই ওদের বললাম আমার হাত-পা টিপে দিতে। একটি মেয়ে নেলপলিশও লাগিয়ে দিচ্ছিল। ভাবলাম, এই তো সুযোগ। ভিডিয়ো তুলে পোস্ট করে দিলাম, ‘লাইফ হো তো ভারতী জ্যায়সি’।
প্র: করবা চৌথেও তো হিরের চুড়ি উপহার পেয়েছেন!
উ: বছরে এক বারই তো করবা চৌথ হয়। সারা দিন উপোস থাকতে হয়। উপহার তো নিতেই হবে। স্বামীদের লুটে নেওয়া উচিত।
প্র: হর্ষ (লিম্বাছিয়া) আপনাকে বাড়ির কাজে সাহায্য করেন?
উ: হ্যাঁ, এখনও বাড়ি গিয়ে দেখুন, ও-ই হয়তো কাজ করছে। রোজ এত ব্যস্ত থাকি যে, কথা বলারও সময় হয় না। গত তিন দিন ধরে কথা হয়নি। আমি আর ও দু’জনেই এত রাতে ফিরেছি যে, খেয়েদেয়েই ঘুম়...
প্র: কখনও রাগ হয়?
উ: খুব কম। বছরে হয়তো এক বার রাগ করি, কিন্তু ভীষণ রেগে যাই। এসি কেন চলছে? পাখা কেন ঘুরছে? তুচ্ছ কারণেই রেগে যাই। আবার রাগ পড়েও যায় তাড়াতাড়ি। আমি ওর সঙ্গে কথা না বলে পাঁচ মিনিটও থাকতে পারি না। আর হর্ষ তিন মিনিটও থাকতে পারে না। তাই ও-ই সব সময়ে আগে আসে রাগ ভাঙাতে।
প্র: আপনার ওজনই তো ইউএসপি। সেখানে হঠাৎ দশ কিলো ওজন কমালেন কেন?
উ: আমি ওজন কমাইনি। ভুগে ভুগে ওজন কমে গিয়েছে। একটা মশা চুমু খেয়ে গেল, ব্যস! ডেঙ্গি হয়ে গেল। পরপর ভুগছি আর রোগা হচ্ছি।
প্র: এই জাঙ্ক ফুডের জগতে ওবেসিটি তো একটা সমস্যা। কিন্তু যারা ওভার ওয়েট তারা বডিশেমিংয়ের সঙ্গে লড়াই করবে কী ভাবে?
উ: আমি জাঙ্ক ফুড ভালবাসি না। ওই পিৎজ়া, বার্গার আমার মোটেও ভাল লাগে না। আমি পুরো ডাল-চাল, পরোটা টাইপ। দেশি ঘিয়ে তৈরি পরোটা খুব প্রিয়। আমার ইউনিটে কখনও বার্গার, পিৎজ়া এলে অনেকেই জোর করে খাওয়ার জন্য। আমি খাই না। আর ওজন নিয়ে বডিশেমিং কেন হবে? এটা তো ভগবানের উপহার। যাদের ওজন বেশি, তারা নিজেদের পরিচয় বানানোর কথা ভাবুন। আমিও ছোটবেলা থেকে ‘মোটি’ ডাক শুনে বড় হয়েছি। জন্মেছিই তো ওভারওয়েট বাচ্চা। কী করব? ভগবানের এই গিফটকে আমি সারা জীবন শ্রদ্ধা করেছি। নিজের পরিচয় বানিয়েছি। এখন আমি সফল।