‘বরাবরই ফ্যাশনিস্তা ছিলাম’

ইনস্টাগ্রাম জুড়ে ছিপছিপে ভূমি পেডনেকরের অজস্র গ্ল্যামারাস ছবি! চান বা না চান, ছবি ঘাঁটতে ঘাঁটতে এক মিনিটের জন্য থমকে দাঁড়াতে হবেই। বছর তিনেক আগে এই ভূমিকেই তো বড় পরদায় দেখেছিলেন ওজন ভারী ‘সন্ধ্যা’র বেশে, ‘দম লগা কে হইশা’ ছবিতে।

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০০
Share:

ভূমি

ইনস্টাগ্রাম জুড়ে ছিপছিপে ভূমি পেডনেকরের অজস্র গ্ল্যামারাস ছবি! চান বা না চান, ছবি ঘাঁটতে ঘাঁটতে এক মিনিটের জন্য থমকে দাঁড়াতে হবেই। বছর তিনেক আগে এই ভূমিকেই তো বড় পরদায় দেখেছিলেন ওজন ভারী ‘সন্ধ্যা’র বেশে, ‘দম লগা কে হইশা’ ছবিতে। ‘‘ফ্যাশনিস্তা আমি বরাবরই ছিলাম। অনেক অল্প বয়সেই রোজগার করতে শুরু করি। আর আমার আয়ের বেশিটাই খরচ হতো পোশাক ও মেকআপের জন্য। এখনও তাতে কিছু বদল হয়নি। শুধু ছবি সফল হওয়ার পর দেখার লোকের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে,’’ হাসতে হাসতে ফোনে বলছিলেন অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর।

Advertisement

তিন বছরে এতটা ওজন কমিয়ে ফেলেছেন! আগে কি হীনমন্যতায় ভুগতেন? জোর গলায় বললেন, ‘‘একেবারে নয়। এখনকার মতোই আগেও শর্ট ড্রেস পরতাম। এমনকী তখনও ক্লিভেজ দেখানো পোশাক পরেছি। আসলে ‘দম লগা কে হইশা’ করার পরই আমার মনে হল, আমি অনেকটা ভারী হয়েছি। তার আগে পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও ভাবনা-চিন্তাই ছিল না। আর আমার চারপাশে এমন লোকজন আছে, যারা কখনও আমাকে নেগেটিভ ভাবতে দেয়নি। আমি কিন্তু মেল অ্যাটেনশনও পেতাম,’’ নায়িকার গলায় দুষ্টু হাসি।

২০১৭-য় মুক্তিপ্রাপ্ত ভূমির দুটো ছবি ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ ও ‘শুভ মঙ্গল সাবধান’ বক্স অফিস ও সমালোচক, দু’পক্ষকেই খুশি করেছে। পরবর্তী প্রজেক্ট বাছার জন্য কি অন্য কিছু ভাবছেন? ‘‘না, সে ভাবে কিন্তু কিছু বদলায়নি। বরাবরই ভাল ছবি ও ভাল চরিত্রের খোঁজে থাকি। আর সত্যি কথা বলতে, আমার তিনটি ছবিই সংশ্লিষ্ট পরিচালকদেরও প্রথম ছবি (শরৎ কাটারিয়া, শ্রী নারায়ণ সিংহ এবং দক্ষিণী পরিচালক আর কে প্রসন্নর প্রথম হিন্দি ছবি)। তাই প্রজেক্ট নিয়ে আগে থেকেই বেশি ভাবি না। আমি কতটা দিতে পারছি, সেটাই ভাবনা থাকে।’’ সন্ধ্যা, জয়া, সুগন্ধা— তিনটি চরিত্রই এক সুতোয় বাঁধা। ডিগ্ল্যাম, অনেকটা বাস্তবের কাছাকাছি। গ্ল্যামারাস চরিত্র করার ইচ্ছে নেই? ‘‘আমার মনে হয়, হিন্দি ছবি যে দিকে এগোচ্ছে, সে ক্ষেত্রে নায়িকা গ্ল্যামারাস আর তার বাইরে ছবিতে কিছু করণীয় নেই... এই ভাবনাটা বদলাচ্ছে। আর সুযোগ থাকলে আমি গ্ল্যামার আর কনটেন্টের মিশেল এমন চরিত্রই করতে চাইব।’’

Advertisement

অভিনেত্রী হওয়ার আগে ভূমি কিন্তু ক্যামেরার পিছনে অনেক বছর কাজ করেছেন। কখনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন? ‘‘সত্যি কথা বলতে, আমি যশরাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করছি। ওদের ওখানে মেয়েদের নিরাপত্তার উপর যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়। কিন্তু তার মানে যে ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের হেনস্থা হতে হয় না, সেটাও বলব না। অনেকেরই নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে শুনেছি। ‘মি টু’র সৌজন্যে মেয়েরা যে এগিয়ে এসে কথা বলছেন, সেটাতেও আশা জাগছে।’’

আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে তাঁর জুটি কিন্তু দর্শকের বেশ ভাল লেগেছে। কথাটা বলাতেই বেশ জোরে হাসলেন ভূমি, ‘‘হ্যাঁ, সত্যিই আমাদের একসঙ্গে দেখতে ভাল লাগে।’’ তাঁর বন্ধু তালিকাতেও তাই আয়ুষ্মান একেবারে প্রথমে। আর আছেন শানু শর্মা ও তাঁর প্রথম পরিচালক শরৎ কাটারিয়া।

ভূমি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন ঠিকই। তবে তাঁর হবি শুনলেই আগের রূপের রহস্যটি সহজেই বুঝতে পারবেন। ‘‘আমি একেবারে কাউচ পটেটো। খাবার নিয়ে সোফা বা বিছানায় জমিয়ে বসে পড়ি। আর টেলিভিশন দেখি। এখন তো অপশন আরও বেড়েছে। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন... যেখানে যা ভাল চলে, একেবারে বিঞ্জ ওয়াচিং,’’ কোনও রাখঢাক না রেখেই বললেন ভূমি।

আপাতত অভিষেক চৌবের চম্বল নিয়ে পিরিয়ড ড্রামার জন্য নিজেকে তৈরি করছেন ভূমি। বিপরীতে সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তবে নিজের চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু খোলসা করলেন না ভূমি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন