'অনুমতি পেলে খিচড়ি পাকিস্তানে শ্যুট করতে পারি'

‘খিচড়ি’র নতুন সিজন, নয়া মুখ আর পুরনো হাসির গল্প নিয়ে জেডি‘খিচড়ি’র নতুন সিজন, নয়া মুখ আর পুরনো হাসির গল্প নিয়ে জেডি

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share:

জেডি

তাঁর নাম যমনাদাস মাজেথিয়া। তবে ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে চেনে ‘জেডি’ নামে। এখনও চিনতে না পারলে মনে করুন, ‘খিচড়ি’-র হন্সা পারেখের ভাই হিমাংশুকে। অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক যমনাদাসের ‘জেডি’ হয়ে ওঠার গল্পটা ততটাই মজার, যতটা তাঁর প্রযোজিত ধারাবাহিক ‘খিচড়ি’। নতুন বছরে নতুন রূপে সকলের ড্রয়িংরুমে আসছে ছোট পরদার কালজয়ী সেই ধারাবাহিক।

Advertisement

‘‘আমার প্রযোজিত ধারাবাহিকের মধ্যে ‘খিচড়ি’ আসলে নিজের পরিচিতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দর্শকের এত ভালবাসা-প্রশংসা পেয়েছি যে, তা ভোলার নয়। চ্যানেলের দফতরেও ই-মেল আসত, ‘খিচড়ি’ কবে ফিরছে তা জানার জন্য,’’ ফোনে বলছিলেন যমনাদাস। এ বারের ‘খিচড়ি’র শ্যুট লন্ডন বা প্যারিসে হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেডি খুলে বসলেন গল্পের ঝাঁপি। ‘‘খিচড়ি শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকের একটি এপিসোডে দেখানো হয়েছিল, জয়শ্রী হাতে মেহেন্দি লাগাচ্ছে। আর মৌসিজি সেই নিয়ে তাকে কথা শোনাচ্ছে। এই এপিসোড টেলিকাস্ট হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে একটি ই-মেল এসেছিল। যাতে অনুরোধ করা হয়েছিল, ‘খিচড়ি’তে যেন নিখাদ হাসির খোরাকই থাকে, সেন্টিমেন্টাল কিছু দেখানো না হয়।’’ সেই সূত্র ধরে জেডি বলছিলেন, ‘‘অনুমতি পেলে পাকিস্তানেও ‘খিচড়ি’র শ্যুট করতে পারি। দুবাইয়ে আমাদের হোটেলে পাকিস্তানের কয়েক জন ক্রু উঠেছিলেন। তাঁদের অনেকেই বলেছিলেন, ‘খিচড়ি’র শ্যুট কাশ্মীরে হলে ভারত-পাকিস্তানের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে,’’ হাসির দমক জেডির গলায়।

চেনা চরিত্রের পাশাপাশি রেণুকা সাহানে, দীপশিখা, বখতিয়ার ইরানির মতো নতুন মুখও দেখা যাবে এই সিজনে। জেডি বলছেন, ‘‘এর ফলে নতুন কলাকুশলীদের ফ্যানবেসও আমরা পাচ্ছি। আর প্রতিষ্ঠিত পুরনোদের সঙ্গে নতুনদের টক্কর দেখতেও বেশ মজা লাগবে।’’জেডির কথায় ‘‘সাক্ষী তনওয়ার এখানে একটি চরিত্র করার অনুরোধ জানিয়েছেন। ‘খিচড়ি’ ছবিটির (২০১০) টাইটেল ট্র্যাক ঋষি কপূর ও নীতু সিংহের খুব পছন্দের। ঋষিজিও এই ধারাবাহিকে অতিথি শিল্পী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।’’

Advertisement

জেডি নিজে গুজরাতি। টেলিভিশনের হিট হিন্দি কমেডি সিরিয়াল মানেই গুজরাতি পরিবার। জেডি বেশ গর্ব করে বলছেন, ‘‘আমরা নিজেরা নিজেদের নিয়ে মজাও করতে পারি। গুজরাতি থিয়েটার, সাহিত্য, খাবার, কথা বলার চলন সবের মধ্যে লার্জার দ্যান লাইফ ব্যাপারও আছে।’’

যমনাদাস মাজেথিয়া নামটা রাশভারী। যখন জেডি কলেজে পড়তেন, তাঁর নাম শুনে অনেক সহপাঠীরই মনে হতো, এটা কোনও প্রফেসরের নাম। আর তাঁর মন কেড়েছিল একটি মেয়ে, যাঁর নামের আদ্যক্ষর ডি। সেই থেকেই উনি হয়ে গেলেন জেডি। ফোন রাখার আগে অবশ্য বললেন, ‘‘আমার স্ত্রী এ সব পড়লে কিন্তু বেশ রেগে যাবেন।’’ যখন শুনলেন বাংলায় লেখা হবে, তখন দ্বিগুণ উৎসাহে বললেন, ‘‘লিখুন, লিখুন, আমার স্ত্রী বাংলা পড়তে পারেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন