তিমির। ছবি: অর্পিতা প্রামাণিক
প্লেব্যাকের পাশাপাশি নিজের ব্যান্ড ‘ফকিরা’য় গাওয়ার সুবাদে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন তিমির বিশ্বাস। ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’য় ঋত্বিক চক্রবর্তীর লিপে প্রথম বার শোনা যাবে তিমিরের কণ্ঠ। বলিউডে ‘খজুর পে আটকে’তেও গাইলেন তিনি। তিমিরের গায়ক হয়ে ওঠাও এক সমাপতন। ‘‘রঘুনাথপুর কলেজে ভর্তির পর থেকেই গানের চর্চা শুরু করি। ওখানে র্যাগিংয়ের শর্ত ছিল, গাইতে যেতে হবে সিনিয়রদের ঘরে। সেটাই অভ্যেসে বদলায়। পরে গান লেখা শুরু করি। গিটার, কিবোর্ড, মাউথঅর্গ্যান কোনওটাই শিখিনি,’’ বলছিলেন তিমির। ‘চন্দ্রবিন্দু’, ‘ফসিলস’, ‘পরশপাথর’-এর অনুপ্রেরণার পাশাপাশি নচিকেতার প্রশংসাতেই ঢুকে পড়েন গানের জগতে। তৈরি করেন ব্যান্ড ‘মিউজিক স্ট্রিট’। কিছু দিন পরে কলকাতায় আসেন ‘ব্যান্ড-এ মাতরম’-এ যোগ দিতে। প্লেব্যাক করার সুযোগ পান
‘০৩৩’ ছবিতে।
গানের পথ বেছে নেওয়া তিমিরের পক্ষে সহজ ছিল না। দ্বিতীয় বর্ষেই পড়াশোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। মনোনিবেশ করেন গানের জগতে। শুরু হয় স্ট্রাগল। সেই সময়ে পরিবারের পাশাপাশি তিমির পাশে পেয়েছিলেন সীমাকে। আসানসোলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সীমার সঙ্গে পরিচয় তিমিরের। বন্ধুদের উৎসাহেই দানা বাঁধে দু’জনের সম্পর্ক। প্রেমপর্ব পেরিয়ে ২০১৩য় বিয়ে করেছেন তিমির-সীমা। তিমির বললেন, ‘‘দিনে অন্তত এক বার আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি। একে অপরকে স্পেস দিই। সে জন্যই অটুট আমাদের বন্ধুত্ব। সুযোগ পেলে ঘুরতে বেরোই, খাওয়াদাওয়া করি, সিনেমা দেখি। সেখান থেকেই জোগাড় করি গানের রসদ।’’
এ বার পরিচালনার কাজও শুরু করেছেন তিমির। নববর্ষে মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালিত প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘কিছু দিন’। তবে নিজেকে যাচাই করতেই তিমিরের এই প্রয়াস। বললেন, ‘‘ব্যান্ড নিয়ে ছবি তৈরির ইচ্ছে আছে। এটা তারই প্রস্তুতি। তবে এই ছবিতে আমি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি।’’ ছবি তৈরির পরিকল্পনা কবে থেকে? ‘‘অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম। ব্যান্ড নিয়ে যে সমস্ত ছবি তৈরি হয়েছে, কোথাও ভাঙনের মূল সমস্যাগুলো দেখানো হয় না। আমি সেগুলোই ছবিতে দেখাতে চাই। পরিচালনার কাজ শেখার জন্য ‘বুড়ো সাধু’র ফ্লোরে কয়েক দিন গিয়েছি। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অনির্বাণকে (ভট্টাচার্য) ভেবেছি। ‘ধনঞ্জয়’ দেখে মনে হয়েছিল, অনির্বাণ স্বচ্ছন্দে তিমির বিশ্বাসের ভূমিকায় অভিনয় করতে পারবে। ছবিতে আমার প্রথম ব্যান্ড ‘মিউজিক স্ট্রিট’ ছাড়া নতুনদেরও গান থাকবে। তবে অনির্বাণকে এখনও অ্যাপ্রোচ করিনি।’’