SIR in West Bengal

শুনানি পর্বে বিচ্যুতি আটকাতে ৯ দফা দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের! কী করণীয়, সকলকে শিখিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

ভোটারদের শুনানির জন্য দায়িত্বে রয়েছেন ইআরও এবং এইআরও-রা। মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের কাজ হল মূলত এই শুনানি প্রক্রিয়ার তদারকি করা। গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালানো। কমিশনের তরফে ৯টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:০২
Share:

এনুমারেশন ফর্ম কী ভাবে যাচাই করতে হবে, মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের দায়দায়িত্ব বুঝিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। — প্রতীকী চিত্র।

ভোটারদের শুনানির সময়ে কী ভাবে নজরদারি চালাতে হবে, তা নিয়ে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এই মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। শুনানি পর্বের উপর সার্বিক নজরদারির জন্যই তাঁদের নিয়োগ করেছে কমিশন। মোট ৯টি দায়িত্ব থাকছে এই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উপর। কী কী করণীয়, তা বুধবার মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

কলকাতার নজরুল মঞ্চে বুধবার দু’দফায় প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হয়। প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ চলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে আবার দুপুর ২টো থেকে প্রশিক্ষণ হয়। প্রশিক্ষণ পর্বে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজকুমার আগরওয়াল, বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত এবং সিইও দফতরের অন্য আধিকারিকেরা।

রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১১টি করে শুনানির টেবিল থাকবে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি টেবিলের নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে মাইক্রো অবজ়ার্ভার। এনুমারেশন ফর্ম কী ভাবে যাচাই করতে হবে, শুনানির জন্য ভোটারেরা যে নথিগুলি জমা দিচ্ছেন, তা কী ভাবে খতিয়ে দেখতে হবে— সেই সব বিষয় বুধবার বুঝিয়ে দেওয়া হয় চার হাজারেরও বেশি মাইক্রো অবজ়ার্ভারকে।

Advertisement

ভোটারদের শুনানির জন্য মূলত দায়িত্বে রয়েছেন ইআরও এবং এইআরও-রা। মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের কাজ হল মূলত এই শুনানি প্রক্রিয়ার তদারকি করা। গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালানো। কমিশনের তরফে ৯টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মীদের।

কী কী দায়িত্ব থাকছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের?

১। বিএলও-দের জমা দেওয়া ডিজ়িটাইজ়ড এনুমারেশন ফর্মের তথ্য যাচাই করে দেখতে হবে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের।

২। জন্ম-মৃত্যুর তথ্য এবং অন্য তথ্যের সঙ্গে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই করে দেখতে হবে।

৩। ইআরও বা এইআরও-রা যে ভোটারদের নোটিস পাঠিয়েছেন, তাঁদের জমা দেওয়া নথি যাচাই করে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের।

৪। ভোটারেরা যে দাবি করছেন, তার সঙ্গে জমা দেওয়া নথির সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, তা যাচাই করাও মাইক্রো অবজার্ভারদের দায়িত্ব।

৫। শুনানি পর্বের সার্বিক প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালাতে হবে তাঁদের।

৬। ভোটার তালিকা তৈরি বা সংশোধনের সময়ে কোথাও কোনও বিচ্যুতি রয়ে যাচ্ছে কি না, তার উপরেও নজর রাখতে হবে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের।

৭। পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকদের পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণে প্রয়োজন মতো সাহায্য করতে হবে।

৮। সিইও, পর্যবেক্ষক বা বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা প্রয়োজন অনুসারে কোনও নির্দেশ দিলে, তা পালন করতে হবে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের।

৯। নজরদারির পরে কী তথ্য উঠে আসছে তা সিইও, পর্যবেক্ষক বা বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছে জানাতে হবে তাঁদের।

আগামী শনিবার থেকে রাজ্যে ভোটারদের শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম চূড়ান্ত তালিকায় উঠবে কি না, তা অনেকাংশে নির্ভর করবে ওই শুনানি পর্বের উপরেই। তার আগে কমিশন নিযুক্ত ৪ হাজার ৬০০ মাইক্রো অবজ়ার্ভারকে নিজেদের দায়দায়িত্ব বুঝিয়ে দিল সিইও দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement