অতিমারি বিধ্বস্ত সময়ে সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি। সলমন খানের সঙ্গে সওয়াল-জবাব।
salman khan

Salman Khan: ‘অভিনয় ও প্রযোজনায় অভিজ্ঞতা আছে বলে পরিচালনায় নাক গলাই না’

‘অন্তিম’-এর চরিত্রের জন্য অন্য অভিনেতাদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পরে মনে হল, নিজেই করি।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৪
Share:

সলমন।

প্র: সিনেমা হল খোলার পরে ‘সূর্যবংশী’ ভালই ব্যবসা করেছে। আপনিও তো হলে ছবি রিলিজ় করানোয় বিশ্বাসী...

Advertisement

উ: আমাদের দেশে বড় পর্দার কোনও বিকল্প নেই। বিদেশে অবশ্য বিনোদনের অনেক উপায় আছে। কম খরচে পরিবারের সকলে মিলে সিনেমা দেখতে যাওয়ার কোনও বিকল্প আছে কি? ল্যাপটপ বা মোবাইল কখনও বড় পর্দার ম্যাজিক তৈরি করতে পারবে না। ওরকম সাউন্ড, পাঁচ জনের সঙ্গে বসে দেখার পরিবেশটাই আলাদা!

প্র: ওটিটিতে ‘রাধে’ রিলিজ় করানোর জন্য সাবস্ক্রিপশনের নতুন প্যাকেজ এনেছিলেন। ‘অন্তিম’-এর জন্য কি অন্য ভাবনাচিন্তা রয়েছে?

Advertisement

উ: কোভিড-পরবর্তী সময় খুব কঠিন হয়ে উঠেছে। হলমালিকেরা নিজেদের সংসার চালাবেন, কর্মচারীদের বেতন দেবেন। আবার হলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবেন। খরচ তো কম নয়! তবে সিঙ্গল স্ক্রিনে টিকিটের দাম বাড়েনি বলেই জানি। আমার ছবির জন্যও বাড়বে না। তবে মাল্টিপ্লেক্সে টিকিটের দাম বেড়েছে সম্ভবত। এ ছাড়া কোভিড যদি আবার বাড়ে, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

প্র: ‘অন্তিম’ একশো কোটির ব্যবসা করতে পারবে বলে আশা রাখেন?
উ: বাবা (সেলিম খান) ছবিটা দেখেছেন। ওঁর ভাল লেগেছে। আয়ুষের (শর্মা) কাজও পছন্দ হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ছবি ভাল লাগলে, অন্য ধরনের আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। পরিশ্রম তো করেছি। বাকিটা দর্শকের উপরে। ব্যবসার দায়িত্বও তাঁদের উপরে।

প্র: আয়ুষের অভিনয় আপনার কী রকম লাগে?

উ: আমি গর্ববোধ করি যে, ও এই পরিবারের সদস্য। ওর খুঁত বার করা কঠিন (হাসি)। শরীরের জন্য তো পরিশ্রম করেই। দর্শক সেটা আগেও দেখেছেন। অভিনয়ের দিক থেকেও খুব কম সময়ের মধ্যে ও পরিণত হয়ে উঠেছে।

প্র: আয়ুষের উত্থানের নেপথ্যে আপনার বোন অর্পিতার অবদান কতখানি?

উ: অর্পিতা শুধু ভাল বৌ নয়, খুব ভাল মা-ও। দুটো পরিবারের প্রতি কর্তব্য পালনে ওর কোনও ত্রুটি নেই। আয়ুষের স্টাইলিং অর্পিতা-ই করে। আর এত কিছু সামলেও আমাদের জন্য সময় বার করে ফেলে।

প্র: মরাঠি ছবি ‘মুলশি প্যাটার্ন’-এর রিমেক ‘অন্তিম’কী দেখে রাজি হয়েছিলেন?

উ: মূল ছবিতে আমার চরিত্রের সাত-আটটি দৃশ্য ছিল। আয়ুষের চরিত্রের চেয়েও পুলিশ অফিসারের চরিত্রটা বেশি পছন্দ হয়েছিল আমার। সেই চরিত্রটাকে অন্য ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ‘অন্তিম’-এ। এই চরিত্রটার জন্য কয়েকজন অভিনেতাকে প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পর ভাবলাম, অন্যদের কাছ থেকে ফেভার নেওয়ার চেয়ে নিজেই কাজটা করি। আমি লেখকের ছেলে। ছবিতে ভাল গল্প খুঁজি।

প্র: আপনার বিপরীতে এক নবাগতাকেও তো নেওয়া হয়েছিল ছবিতে। পরে পরিকল্পনায় বদল হল কেন?

উ: রোম্যান্টিক অ্যাঙ্গল রাখলে আমার চরিত্রের গুরুত্ব কমে যাচ্ছিল। তাই সকলের মিলিত সিদ্ধান্ত, নায়িকা রাখা হবে না। কয়েকটি দৃশ্য আর দুটো গানের শুট করেছিলাম। সেটাও বাদ দিয়ে দিয়েছি। আর ওই নায়িকার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছি, ভবিষ্যতে কখনও তাঁর সঙ্গে অন্য ছবিতে কাজ করব।

প্র: ছবির পরিচালককে কি কখনও পরামর্শ দেন?

উ: যা করি, সবটাই রাইটিং টেবলে। অভিনয় আর প্রযোজনায় অভিজ্ঞতা আছে বলেই পরিচালকের কাজে অযথা নাক গলাই না।

প্র: ‘রাধে’ ছবিটির পাইরেটেড ভার্শনে বাজার তো ছেয়ে গিয়েছে।

উ: ‘রাধে’র এখনও অবধি সবচেয়ে বেশি পাইরেটেড ভার্শন বেরিয়েছে। ২৫০ টাকায় ওটিটিতে এই ছবি দেখতে পারতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাইরেসি হয়েছে। তাড়াতাড়ি এই র‌্যাকেটকে ধরা উচিত।

প্র: ‘টাইগার থ্রি’-এর শুটিং কত দূর এগিয়েছে?

উ: শুটিং চলাকালীন ধুলোবালি খেয়েছি। তখন সামলে নিয়েছি। কিন্তু তার পর খুব হাঁচি, কাশি শুরু হয়েছে। এখন আবার প্রকাশ্যে হাঁচি বা কাশির অনুমতি নেই (হাসি)।

প্র: আপনার আঁকা ছবির প্রদর্শনী করবেন বলেছিলেন। কবে হবে?

উ: এখনও পর্যন্ত ৩৬টি ছবি এঁকেছি। লকডাউনে যখন সময় পেয়েছিলাম, তখন একবারে আঁকিনি। ইচ্ছে রয়েছে, আবু ধাবিতে প্রদর্শনী করার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন