দিব্যাঙ্কা
প্র: আপনার শো ‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতেঁ’ পনেরোশো পর্ব সম্পূর্ণ করল। কেমন ছিল জার্নি?
উ: কাজ শুরুর প্রথম দিন থেকেই ভেবেছিলাম, নিজের সবটা উজাড় করে দেব। এমনও দিন গিয়েছে, যখন আমাদের কাছে এপিসোড ব্যাঙ্ক করা থাকত না। তার জন্য দিন-রাত খেটেছি। শো চলাকালীন পায়ে চোট পেয়েছিলাম। সাড়ে চার বছর ধরে একই স্টুডিয়োয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কাজ করা সহজ নয়।
প্র: প্রথম শো ‘দুলহন’ সুপারহিট। তবু কাজ পাওয়ার জন্য লড়াইটা শুরু হল কবে থেকে?
উ: ‘দুলহন’ শেষ হওয়ার পরেই আমার লড়াই শুরু হয়। সকলে ভেবেছিল, আমি একই ধরনের চরিত্র করে যাব। তাই তখন ভেবেচিন্তে কমেডি ট্রাই করি। ওখানে নিজেকে প্রমাণ করাও কঠিন ছিল।
প্র: শিল্পী হিসেবে নিজেকে বদলানো কতটা জরুরি?
উ: সময়ের সঙ্গে বদলাতে হয় বইকী! আমি কোনও দিন ভাবিনি, ছোট জামাকাপড় পরব। ‘কমেডি সার্কাস’-এ পরেছিলাম। দর্শকের ভাল লেগেছিল। আমার মতে, এক জন শিল্পীর ফ্লেক্সিবল থাকা খুব জরুরি। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী কখন কী করতে হয়, সেটা আগে থেকে প্ল্যান করা যায় না।
প্র: ছোট পোশাক পরার জড়তা কাটালেন কী ভাবে?
উ: আমাকে সকলে ‘বহেনজি’ বলে ডাকতে শুরু করে দিয়েছিল। আমি সব সময়ে মানতাম, জামাকাপড় কারও ইমেজ তৈরি করতে পারে না। অনেক পড়াশোনা করেছি। দেশ-বিদেশ ঘুরেছি। এখনকার যে কোনও মেয়ের মতোই আমার ভাবনাচিন্তা। তবে আমি কোনও ভাবেই ভুল উদাহরণ হতে চাই না।
প্র: শোয়ে কর্ণ পটেলের সঙ্গে আপনার দারুণ কেমিস্ট্রি। কিন্তু পর্দার বাইরে আপনাদের সম্পর্ক ভাল নয়, তাই না?
উ: আসলে কর্ণ ভীষণ মুডি। আমি কাজের প্রতি খুব নিষ্ঠাবান। আমি সেটে আসি কলটাইম অনুযায়ী। আর কর্ণ আসে নিজের টাইম অনুযায়ী। তবে অন রেকর্ড একটা কথা বলছি, আমাদের কখনও ঝগড়া হয়নি। আমার অসুবিধে হলেই প্রোডাকশনের সঙ্গে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: স্নানের ভিডিও শেয়ার করলেন সানি, তার পর...
প্র: এই শোয়ের দৌলতে জীবনসঙ্গী বিবেক দহিয়াকে খুঁজে পেয়েছেন...
উ: বিয়ে করে আমি খুব সুখী। আমি সকলকে বিয়ে করার পরামর্শ দিতে চাই। বিয়ের উপর আমার বিশ্বাস ছিলই। এখন আরও বেড়ে গিয়েছে। বিবেক ভীষণ ফানলাভিং। রোম্যান্টিকও। আমাকে অনেক সারপ্রাইজ় দেয়। রাতে কম ঘুমোই বলে আগে ও খুব রেগে যেত। এখন আমার সঙ্গে ওকেও রাত জাগতে হয় (হাসি)।
প্র: আপনাদের ঝগড়া হয়?
উ: খুব কম হয়। হলেও রাতে শুতে যাওয়ার আগে মিটিয়ে নিই। পরের দিন অবধি টেনে নিয়ে যাই না। তাতে দু’জনেরই কাজে ক্ষতি হয়।
প্র: ছোট পর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার জন্য চাপ অনুভব করেন?
উ: গ্ল্যামার ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে দায়িত্ববোধ অনেক বেড়ে গিয়েছে। মনে আছে, এক বার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম, যেখানে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে আমি সিট বেল্ট লাগাইনি। সেই ছবি দেখে আমাকে এক জন মেসেজ করেছিলেন, সেলেব্রিটি বলে কি আমি নিয়মের ঊর্ধ্বে? সে দিন থেকে আমি খুব সতর্ক। শোয়ে যখন কোনও নারীর নিরাপত্তা বা বাচ্চাদের গুড টাচ আর ব্যাড টাচ সম্পর্কিত ট্র্যাক চলে, আমি সব সময়ে ইনপুট দিয়ে থাকি।