Sweta Bhattacharya Interview

কাজ দরকার বলে ক্যামেরার সামনে চুমু খেতে পারব না, ছোট পোশাকও পরব না: শ্বেতা

প্রতি দিন তাঁকে ‘সোহাগ জল’ সিরিয়ালে জুঁইয়ের চরিত্রে দেখেন দর্শক। শ্বেতা ভট্টাচার্য ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ। মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রথম ছবি ‘প্রজাপতি’। আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি শ্বেতা।

Advertisement

উৎসা হাজরা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৮
Share:

কবে বিয়ে করছেন শ্বেতা? ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: ‘প্রজাপতি’ তো পাখা মেলে উড়ছে?

Advertisement

শ্বেতা: হ্যাঁ, দারুন ভাবে উড়ছে। প্রথম ছবি, খুব ভাল লাগছে। অভিজিৎদা, অতনুদাদের অনেক ধন্যবাদ। সিরিয়ালের চাপের জন্য অনেক কিছুতে উপস্থিত থাকতে পারিনি। সেগুলোও মেনে নিয়েছেন। এটাই বড় প্রাপ্তি। আমি কৃতজ্ঞ।

প্রশ্ন: সিরিয়ালের অভিনেতাদের বড় পর্দায় সুযোগ পাওয়া কঠিন, সেই ধারণাও ভাঙল তা হলে?

Advertisement

শ্বেতা: আমি বিশ্বাস করি প্রতিভায়। সেটা থাকলে, নিশ্চয়ই সুযোগ আসে। আমি তো পেলাম।

প্রশ্ন: ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ালে অভিনয় করছেন, বিরতি নিতে ইচ্ছে হয় না ছোট পর্দা থেকে?

শ্বেতা: আমার ভাল থাকার ওষুধ হল কাজ। আমি কাজে থাকলে অবসাদ (ডিপ্রেশন) থেকে দূরে থাকি। এমন নয় যে, ছুটি চাই না। সিরিয়াল শুরুর আগেই আমি বলে দিই আমার শর্তগুলো। এই যেমন রবিবার আমি ছুটি চাই। ১ জানুয়ারি আমি কাজ করি না। শো এলে আমায় আগে ছেড়ে দিতে হবে। আমরা তো প্রচুর ‘মাচা শো’ করি, তখন আগে ছাড়তেই হয়। আমি চাই পর পর হাতে কাজ থাকুক।

কেমন ছিল শ্বেতার ছোটবেলা ? ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: ‘মাচা শো’-এ রোজগার প্রচুর, আবার দর্শকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও করা যায়। কোন কারণটা আপনার কাছে বেশি গুরুত্ব পায়?

শ্বেতা: বেশি রোজগার হবে বলে। সত্যি বলতে আমি মাচা করতে একদম ভালবাসি না। আসলে আমার মাথার উপরে অনেক দায়িত্ব আছে। তাই সব সময় ভাবতে হয়, এই টাকাটা পেলে আমি এইটা করতে পারব। তাই মাচা করি।

প্রশ্ন: অর্থাৎ শ্বেতার জীবন সিনেমার মতো ঝাঁ-চকচকে নয়?

শ্বেতা: একদমই নয়। মা-বাবা দু’জনেই অসুস্থ। মায়ের তো দু’বার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। ডান চোখে দেখতে পান না। মা রোজ আমার সঙ্গে শুটিংয়ে আসে একটাই কারণে। ডাক্তার বলেছেন এ বার স্ট্রোক হলে আর বাঁচানো যাবে না। তাই মা সব সময় আমার সঙ্গে থাকে। তাই আমার কাজটা শখের নয়, প্রয়োজনের। সঙ্গে ভালবাসা তো আছেই।

প্রশ্ন: আপনার ছোটবেলা কেমন ছিল?

শ্বেতা: ছোটবেলা তো আরও কঠিন ছিল। মোটেই সহজ ছিল না। নুনভাত খেয়ে কাটিয়েছি। আমার দাদা ছিলেন, সে-ও মারা গিয়েছে। আমার ছোটবেলা বলতে বসলে ইতিহাস হয়ে যাবে। মা বাইরে বেরোনোর আগে শিখিয়ে দিতেন, কেউ জিজ্ঞেস করলে যেন বলি, মাছভাত বা মাংস-ভাত খেয়েছি। দুপুরে খেয়ে রাতে ভাবতে হত, কী খাব? এখন তাই একটাই লক্ষ্য, আমার মা-বাবা যেন ভাল থাকেন।

প্রশ্ন: রোজগার যখন বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, তখন মানুষ অনেক সময়ই প্রলোভনে পা দেয় বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার ক্ষেত্রে এমনটা কখনও হয়েছে?

শ্বেতা: আমি এত মরিয়া হয়ে যাইনি কখনও কাজের জন্য, যে যা বলবে তাই করব। কোনও সিদ্ধান্ত এমন নিইনি যে, পরে অনুশোচনা হতে পারে। আমি যেমন সিনেমা বা শুটিংয়ের জন্য হলেও ছোট খোলামেলা পোশাক পরি না, হাতকাটা জামা পরি না। এগুলো আমার আগে থেকেই বলা থাকে। কাজের প্রয়োজনে আমি ক্যামেরার সামনে চুমু খেতে পারব না।

প্রশ্ন: রুবেলের সঙ্গে বিয়েটা তা হলে কবে হচ্ছে?

শ্বেতা: সেটা এখনই জানি না। তবে আমার মা-বাবা ওকে খুব ভালবাসে। ওর বাড়ির সবাইও আমায় খুব ভালবাসে। বলা যেতে পারে আমাদের বাড়ি বাড়ি ঘটকালি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন