Vidhu Vinod Chopra

‘৩৭০ ধারা বিলোপের পরে কাশ্মীর নিয়ে আশাবাদী আমি’

কলকাতায় ছবির প্রচারে মুখোমুখি বিধু বিনোদ চোপড়া কলকাতায় ছবির প্রচারে মুখোমুখি বিধু বিনোদ চোপড়া

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

বিধু বিনোদ। ছবি: স্বপ্নিল সরকার

প্র: বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘শিকারা’র মতো গল্প বলতে চাইলেন কেন?

Advertisement

উ: ২০০৮-এ ছবিটার শুটিং‌ শুরু করেছিলাম। গত বছর নভেম্বরে ছবিটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পরে ছবির রিলিজ় পিছিয়ে দিই। চাইনি লোকে বলুক, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ছবি বানিয়েছি। তবে লোকে এখনও নানা কথা বলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা-ই বলা হয়, সেটাই লোকে এখন সত্যি ভাবে।

প্র: ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি নিয়ে আপনার কী মত?

Advertisement

উ: ৭০ বছর ধরে ৩৭০ ধারা কার্যকর ছিল কাশ্মীরে। কী হয়েছে সেখানে? পরিস্থিতি খারাপ থেকে বেশি খারাপের দিকে এগিয়েছে। এখন যখন ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে, দেখাই যাক না কী হয়! আমি খুব আশাবাদী। আমার ছবিতেও মূল চরিত্র কাশ্মীরে ফিরে যায়। আর সেখানে গিয়ে সে কিন্তু হাতে বন্দুকও তুলে নেয় না।

প্র: আপনি আশাবাদী হলেও জ়াইরা ওয়াসিমের মতো নতুন অভিনেত্রী কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীর নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা লিখেই চলেছেন...

উ: সব অভিজ্ঞতারই মূল্য রয়েছে। ও যা লিখছে, সেটা ওর নিজস্ব অভিজ্ঞতা। আমি সেটাকে সম্মান করি। কিন্তু তার পরেও আশা করছি, কাশ্মীরের পরিস্থিতি যাতে বদলায়। সম্প্রতি টেলিভিশনে দেখলাম, কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রী লাল চকে গিয়ে বললেন, ‘‘বিবাদ নয়, আলোচনা হোক।’’ এটা আমারও বক্তব্য। পার্লামেন্টে বাজেট অধিবেশনের সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কাশ্মীরি কবিতা পড়েছিলেন। দারুণ লেগেছিল ব্যাপারটা।

প্র: কুড়ি বছর আগে ‘মিশন কাশ্মীর’ বানিয়েছিলেন। ‘শিকারা’ বানাতে গিয়ে কাশ্মীর ও তার মানুষ সম্পর্কে ধারণায় কোনও পরিবর্তন এসেছে?

উ: হ্যাঁ এসেছে। এব‌ং এই ছবির মাধ্যমে আমি চাই, কাশ্মীর সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা থাকলে, তা যেন সংশোধিত হয়। আমি রাজনীতিবিদ নই, সমাজকর্মীও নই। আমি শিল্পী। তাই ছবির মাধ্যমে এটুকুই বলতে পারি।

প্র: বলিউডের প্রোপাগান্ডাধর্মী ছবি নিয়ে আপনার কী মত?

উ: খুবই খারাপ। ‘শিকারা’ দেখে কেউ বলতে পারবেন না, এটা প্রোপাগান্ডা ছবি। তাই পেড ট্রোলিং হচ্ছে। টুইটারে ‘#বয়কটশিকারা’ ট্রেন্ডিং। সবটাই ফেক।

প্র: এনআরসি এবং সিএএ-এর প্রতিবাদে বলিউডের একাংশ পথে নেমেছে। আপনি কী বলবেন?

উ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘‘বিবাদ নয়, বিশ্বাস থাকা চাই।’’ বিশ্বাস থাকলেই আলোচনাও চলবে। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দু’জনের মধ্যে মতের মিল না-ই হতে পারে। কিন্তু কথা বলার পরিসরটা বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

প্র: ‘মুন্নাভাই থ্রি’ কি হচ্ছে?

উ: হচ্ছে। সবচেয়ে ভাল কথা, এই ছবির জন্য কেউ আমাকে বয়কট, ট্রোলও করবে না (জোরে হাসি)। আর ব্যবসা নিয়ে চিন্তাও থাকবে না। যারা বলছে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে ছবি বানিয়ে টাকা কামাতে চাইছি, তাদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। ‘মুন্নাভাই’ সিরিজ়ে আমি যা রোজগার করেছি, তার পরে শুধু মাত্র টাকার জন্য ১১ বছর ধরে ‘শিকারা’ বানানোর দরকার পড়ে না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন