কপালের কাছের চুল ছোট ছোট কাটা। সেই ফ্রিঞ্জ কাট দিয়ে এক সময় তুমুল সাড়া ফেলেছিলেন ছয়ের দশকের অভিনেত্রী সাধনা। ১৯৬৫-এ যশ চোপড়া পরিচালিত ‘বক্ত’ ফিল্মেই প্রথম এই হেয়ারস্টাইলে দেখা যায় তাঁকে। সেই ফিল্মের পাশাপাশি সুপার-ডুপার হিট হয় সাধনার ফ্রিঞ্জ কাটও।
প্রায় প্রতিটি ফিল্মেই নিজের লুক বদল করেন আমির খান। ম্যানারিজম, হাঁটাচলা, কথা বলা— প্রায় সবেতেই চমক থাকে আমিরের। সেই সঙ্গে হেয়ারস্টাইলও চেঞ্জ হতে থাকে তাঁর। ২০০৬-এ কুণাল কোহালির ‘ফনা’-তে দেখা গেল বেশ বড় চুল আমিরের।
‘ফনা’-র মতোই পরিচালক আমির খানের ‘তারে জমিন পর’-এও চমক ছিল একাধিক। একে তো এ ধরনের বিষয়ের উপর এই প্রথম ফিল্ম তৈরি হল বলিউডে। তার উপর নিকুম্ভ স্যরের অভিনয়ের পাশাপাশি নজর কেড়েছিল তাঁর হেয়ারস্টাইলও। ছোট করে ক্রপ করা চুল। সঙ্গে খানিকটা মোহক। বেশ কেয়ারফ্রি লুক। তাতেই হিট আমির।
আমির খানের মতো হেয়ারস্টাইল নিয়ে এতটা এক্সপেরিমেন্ট কখনই করেননি সলমন খান। তবে ২০০৩-এর ‘তেরে নাম’-এ নিজের ইমেজ বেশ খানিকটা পাল্টে ফেলেছিলেন সল্লুভাই। রাধের চরিত্রে কানের দু’পাশ দিয়ে বড় বড় লকস নেমেছে সলমনের। তাতেই সলমনের ফ্যানের একেবারে মুগ্ধ। ফিল্ম রিলিজের পর থেকেই সেই হেয়ারস্টাইলও নকল করতে শুরু করেন তাঁরা।
বক্স অফিসে সুপার হিট কর্ণ জোহরের রোম্যান্টিক কমেডি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। শাহরুখ-কাজল-রানি মুখোপাধ্যায়ের লভ ট্রায়াঙ্গলের পাশাপাশি চোখ কেড়েছিল কাজলের টমবয় লুকও। ফিল্মের প্রথম দিকে শর্ট হেয়ার কাটে বেশ অন্য রকম দেখাচ্ছিল কাজলকে। তবে তা নিয়েই ফ্যানেদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন অঞ্জলি থুড়ি কাজল।