চলচ্চিত্র উৎসবে মেয়েদের কুর্নিশ

খুঁটি পুজো, কাঠামো পুজোয় ছড়িয়ে পড়ছে আগমনীর বার্তা। মাতৃবন্দনার সেই শুভ মুহূর্ত আসার আগেই চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসছে শহর মেদিনীপুরে। আর সেখানেও মেয়েদের কুর্নিশ জানানোর প্রস্তুতি। কারণ, উৎসবে দেখানো হবে শুধুই মহিলা পরিচালকদের ছবি।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ০৭:২০
Share:

দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। খুঁটি পুজো, কাঠামো পুজোয় ছড়িয়ে পড়ছে আগমনীর বার্তা। মাতৃবন্দনার সেই শুভ মুহূর্ত আসার আগেই চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসছে শহর মেদিনীপুরে। আর সেখানেও মেয়েদের কুর্নিশ জানানোর প্রস্তুতি। কারণ, উৎসবে দেখানো হবে শুধুই মহিলা পরিচালকদের ছবি।

Advertisement

মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে আগামী ৮-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। শহরে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। সোসাইটির অন্যতম কর্তা সিদ্ধার্থ সাঁতরা বলছিলেন, “আগেও শহরে চলচ্চিত্র উৎসব হয়েছে। তবে শুধুমাত্র মহিলা পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে উৎসব এই প্রথম।’’ তিনি জানান, ৩ দিনে মোট ৬টি সিনেমা দেখানো হবে। সবই দেশে-বিদেশে বহু প্রশংসিত। অসমের রিমা বোরার ‘বকুল’, বাংলায় শতরূপা স্যানালের ‘অন্য আলাপ’-এর মতো নানা ছবি রয়েছে সেই তালিকায়।

আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। উদ্বোধন করবেন মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহা। অনুষ্ঠানে থাকবেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দ্র মজুমদার, ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্তা বিপ্লব ঘোষ, শঙ্কর পাল প্রমুখ। শুধু ভারতের নয়, বেশ কয়েকটি বিদেশি সিনেমাও দেখানো হবে। প্রতিদিন থাকবে দু’টি করে শো। বিকেল পাঁচটায় এবং সন্ধে সাতটায়।

Advertisement

মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে শহরে প্রায় প্রতি বছরই চলচ্চিত্র উৎসব হয়। এর আগে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবও হয়েছে। দেখানো হয়েছে তুরস্ক, ইরান, নেপাল, ডেনমার্ক, ফিলিপিন্স-সহ নানা দেশের সিনেমা। কখনও আবার শিশু চলচ্চিত্র উৎসব কিংবা এপার বাংলা-ওপার বাংলার সিনেমা নিয়েও উৎসব হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফে সিদ্ধার্থবাবু বলছিলেন, “পুজোর আগে আগেই মেদিনীপুরে আমরা চলচ্চিত্র উৎসব করি।’’

ভাল সিনেমার প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যেই ১৯৬৩ সালে শহরে গড়ে ওঠে ফিল্ম সোসাইটি। ’৬৩-র অগস্টে তৎকালীন জেলাশাসক শিবপ্রসাদ সমাদ্দারের বাংলোয় সোসাইটির উদ্যোগে প্রথম সিনেমা দেখানো হয়। পরে রবীন্দ্রনগরে সোসাইটির নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ গড়ে ওঠে। চলচ্চিত্র উৎসব এই প্রেক্ষাগৃহেই হবে। সোসাইটির এক কর্তার কথায়, “কয়েকজন সংস্কৃতিমনস্ক, শিক্ষিত মানুষের বিদেশি সিনেমার মাধ্যমে নিজেদের রুচি ও চিন্তাভাবনাকে উন্নত করা, অন্য দেশের শিল্প-সংস্কৃতি-জীবন সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেই সোসাইটির জন্ম।’’ সেই ধারা বজায় রেখেই এখনও কাজ করে চলেছে মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন