ভূতের গলায় তালাচাবি

শুধু শ্রদ্ধা-ভালবাসা কুড়িয়ে চলেন এলিসের চরিত্রে ৭৪ বছরের অভিনেত্রী লিন শে। দেবতা ও অপদেবতা, দুই বিশ্বের সঙ্গেই সাক্ষাৎদৃশ্যে অসম্ভব সংযত, অভিজাত অভিব্যক্তি তাঁর। তবু তিনি একা বাঁচাতে পারেননি সিনেমাকে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:১৩
Share:

ভূত-প্রেত, দত্যি-দানো সকলের জন্ম মানুষেরই নিষ্ঠুরতা থেকে। এই আপ্তবাক্য মাথায় রেখে হলিউডের ভুতুড়ে সিনেমার বাদশা জেমস ওয়ান তাঁর ভয়ের পৃথিবী গড়েছেন। সেই পৃথিবীতে এখনও তিনটি ব্লকবাস্টার। ‘কনজ্যুরিং’, ‘অ্যানাবেল’, ‘ইনসিডিয়াস’। প্রতিটি থেকেই বেরিয়েছে পরের পর ভৌতিক সিনেমার পর্ব।

Advertisement

প্রথম ‘ইনসিডিয়াস’ সিনেমা ছিল আতঙ্কের ভূরিভোজ। দেহ থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেড়াতে বেরোনো আত্মা, দানোদের কয়েদখানা, আর লোহিত লৌহ-কপাটের ওই পারে এক মনে কাজ করে যাওয়া ভয়াল-দর্শন রক্তদানব। তার মৃত্যুপুরীতে ঢুকেছ জানলেই...

সেই ফিল্মের প্রাণভোমরা ছিলেন বৃদ্ধা প্রেততত্ত্ববিদ এলিস। সিনেমায় তাকেই মেরে, বিপদে পড়লেন নির্মাতারা। ব্যবসার খাতিরে পরের গল্পগুলো অতীতে ফিরল। ধাওয়া করল এলিসের দুনিয়া। ‘শেষ চাবি’ পর্বে গল্প এলিসের অভিশপ্ত শৈশবে ফিরেছে। সেখান থেকে কতগুলি ছেঁড়া তার তুলে, সোজা চলে এসেছে এলিসের সত্তরোর্ধ্ব জীবনে। সেখানেই কষ্টের বিনিময়ে জোড়া লাগবে তার। মানুষের তৈরি সেই রহস্যের পরত একে একে খুলবে এক অপদেবতার খ্যাংরাকাঠি আঙুলের চাবি।

Advertisement

পরিচালক-গল্পলেখকরা কি ক্লান্ত? কোটি কোটি সিনেমায় দেখা ফর্মুলাগুলোকেই আবার সাজিয়ে কোনও রকমে দায় সেরেছেন। ফলে যে বিজলি-চমক দিয়ে ভয় ঝাঁপিয়ে ঢোকে মনের অন্দরে, সেটাই নেই। বেশিটাই আঁচ করা যায়। যে গল্পের উপজীব্য মেয়েদের প্রতি অত্যাচার, সেখানে প্রেমের জন্য হ্যাংলামির অদরকারি সাবপ্লটে কেমন যেন গা ঘিনঘিনিয়ে ওঠে।

ইনসিডিয়াস: দ্য লাস্ট কি

পরিচালনা: অ্যাডাম রবিটেল

অভিনয়: লিন শে, লি হানেল,
অ্যাঙ্গাস স্যাম্পসন

৪/১০

শুধু শ্রদ্ধা-ভালবাসা কুড়িয়ে চলেন এলিসের চরিত্রে ৭৪ বছরের অভিনেত্রী লিন শে। দেবতা ও অপদেবতা, দুই বিশ্বের সঙ্গেই সাক্ষাৎদৃশ্যে অসম্ভব সংযত, অভিজাত অভিব্যক্তি তাঁর। তবু তিনি একা বাঁচাতে পারেননি সিনেমাকে। তবে বক্স অফিসে ভূত সাধারণত হারে না।

ভয় কিন্তু হয়! এই চাবি-পর্ব এত বিরক্তিকর, এর পরে প্রিয় ‘ইনসিডিয়াস’ সিরিজটাতেই না তালা ঝোলে! তা-ও যেটুকু ভাল, তাকে খুন করেছে সেন্সরের বাঁশি। আসল ভয়াবহ দৃশ্যগুলোয় দুমদাম কাঁচি চালিয়ে, ছবিটাকে অসংলগ্ন করে দিয়েছে। তাই বুঝি তালার চাবি শুধু হারালই না, একেবারে ভ্যানিশ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন